Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 1:51 pm

সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সার আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি শহিদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী। গতকাল সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জš§গ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কারফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণ-আন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে শুরু করে তার প্রায় সাড়ে চার দশকের পথচলা আধুনিক সাহিত্যের সঙ্গে, বাঙালি সংস্কৃতি আর প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর পান্না কায়সার একা হাতে বড় করে তোলেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারকে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে পান্না কায়সারের অবদান অপরিসীম। সংসারজীবনে আবদ্ধ না থেকে পান্না কায়সার দায়িত্ব নিয়েছেন লাখো কোটি শিশু-কিশোরকে সোনার মানুষে পরিণত করার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯০ সালে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজš§ গড়ে তোলা’ খেলাঘরের মাধ্যমে এই সেøাগান সারাদেশের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।

তিনি বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এই শহিদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শোক

পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল পান্না কায়সারের মৃত্যুতে দেয়া শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে শহিদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস