ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানে স্ট্রোক হয় কিংবা ধূমপানে ক্যানসার হয়। এ কথাগুলো সবাই জানে, কিন্তু কেউই মানে না। ধূমপান করলে শুধু নিজের ক্ষতি হয় না, আশপাশের সবাই ক্ষতি হয়। ধূমপায়ীরা জেনেশুনে নিজের ক্ষতির পাশাপাশি অন্যেরও ক্ষতি করে। কোনো মানুষের অধিকার নেই অন্যের ক্ষতি করার। তবুও এই ক্ষতিটা প্রতিনিয়তই ঘটানো হচ্ছে। কেউ কাউকে কিছুই বলছে না। দু-একজন সচেতন ব্যক্তি প্রতিবাদ করলেও উল্টো তিনি ট্রলের শিকার হন। এভাবেই চলছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনের অংশটুকু। জমি-জায়গার কাজ নিয়ে অসংখ্য মানুষের জমায়েত ঘটে ডিমলা উপজেলার সাব-রেজিস্টারের কার্যালয়ের সামনের অংশটুকুতে। এ সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় এলকার জনসেবার একটি কার্যালয়। সেখানে শিশু, বৃদ্ধা, যুবক, নারী, শিক্ষক, ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ সবধরনের কর্মজীবী মানুষকে এখনে আসতে হয়। কিন্তু ধূমপায়ীদের কারণে সেখানকার পরিবেশ ভীষণ খারাপ হয়ে গেছে। ধূমপায়ীদের কারণে সেখানকার আকাশ ধোঁয়ায় সাদা হয়ে যায়। কোনো মা তার কোলের শিশুকে নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। অধূমপায়ীদের দাঁড়ানোর পরিবেশ নেই। তবুও নজর নেই সাব রেজিস্টারের কর্তৃপক্ষের। দেশের অন্যতম এই কার্যালয়ের আঙিনাকে সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়ে আসতে হবে। নেশাখোরমুক্ত করতে হবে অত্র এরিয়াকে। প্রয়োজনে সাব-রেজিস্টারের কার্যালয়ের আঙিনার অংশকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যারিকেড বা ঘেরার ব্যবস্থা করতে হবে। ধূমপানমুক্ত এরিয়া নামক সাইনবোর্ড দিতে হবে। এমনকি ধূমপান করলে শাস্তির ব্যবস্থাসংবলিত সাইনবোর্ড লাগানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। এমন উদ্যোগ নিলে ধূমপানমুক্ত এলাকা হবে ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়সহ দেশের সব সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় তথা সরকারি অফিসসংলগ্ন চত্বর। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
আজিনুর রহমান
ডিমলা, নীলফামারী