Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:27 pm

সাভারে ইভ্যালির চারটি ওয়্যারহাউস সিলগালা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারের আমিনবাজার ও বলিয়ারপুরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চারটি ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করে তা সিলগালা করে দিয়েছেন হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা বোর্ড। এ সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে বোর্ডের অন্য চার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল দুপুরে পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে অন্য চার সদস্য সাভারের আমিনবাজার এলাকার পিংক ফুড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে সরজমিন ইভ্যালির দুটি ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তারা ওয়্যারহাউসে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন ও কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিকস পণ্য দেখতে পান। পরিদর্শন শেষে ওয়্যারহাউস দুটি সিলগালা করে দেন তারা। পরে বলিয়ারপুর এলাকায় অবস্থিত ইভ্যালির অপর দুটি ওয়্যারহাউস পরিদর্শন শেষে সেগুলোও সিলগালা করে দেন তারা। পরিদর্শনকালে বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবির, সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ফখরুদ্দিন আহমেদ ও ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

আমিনবাজারে পরিদর্শন শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যান এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ইভ্যালির সম্পদের পরিমাণ এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ শেষে অডিট করা হবে। এরপর এ বিষয়ে বলা যাবে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক এ বিচারপতি বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাদের, যদি সম্ভব হয় বিজনেস চালিয়ে যাওয়া এবং না হলে অডিটের মাধ্যমে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণ করে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে। এখন আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ইভ্যালির ওয়্যারহাউসগুলো পরিদর্শন এবং অডিটের মাধ্যমে সব সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অডিটের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।

বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব কবির মিলন বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় অপশনটি এ মুহূর্তে চিন্তা করছি না। যদি বিজনেস চালিয়ে যেতে পারি, সেটিই হবে মঙ্গলজনক। তবে কোন দিকে আমরা যাব, সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইভ্যালির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আমরা তথ্য নেব। এছাড়া ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্সসহ বিভিন্ন সংস্থা ও গ্রাহকদের কাছ থেকেও তথ্য নেয়া হবে। এরপর সে তথ্য হাইকোর্ট অনুমোদিত অডিট ফার্মকে দেয়া হবে। অডিট ফার্ম তাদের অডিট করবে এবং অডিটের ওপর ভিত্তি করেই আমরা সামনে অগ্রসর হব।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি বেঞ্চ আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইভ্যালি পরিচালনা করার আদেশ দেন। এই কমিটি ইভ্যালির কোথায় কী আছে, সবকিছু বুঝে নেবে। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। তাদের দায়িত্ব হলো টাকাগুলো কোথায় আছে, কোথায় দায় আছে, তা দেখা। আদালতের লিখিত আদেশ পাওয়ার পরই বোর্ড মিটিং করে তারা সরজমিন ইভ্যালির ওয়্যারহাউস পরিদর্শন করছেন। ২৩ নভেম্বর আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে এ কমিটি।