জিয়াউর রহমান: বৈষম্য, দারিদ্র্য, বঞ্চনা, নিপীড়ন এ শব্দগুলো পৃথিবীর বুদ্ধিমান প্রাণীর চেয়ে শক্তিশালী। এ শব্দগুলো পৃথিবীর মানুষের দুঃখ, কষ্ট, ক্ষুধা, মৃত্যু ও স্বাধীনতাহীনতার কারণ। শব্দগুলো সাধারণ মানুষ যারা গতানুগতিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত তাদের স্পর্শ করে না, উদ্বেলিত করে না, ভাবায় না, ভাবনায় ফেলে না, আকর্ষণ করে না, বিদ্রোহী করে না, কাঁদায় না, উদ্যোগী করে না বা নেতৃত্ব সৃষ্টি করে না। এই শব্দগুলোর বিরূপ প্রখরতার কারণে সৃষ্টি হয় শক্তিশালী নেতৃত্ব, মানবিক প্রতিষ্ঠান, মানবিক কর্ম, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক কর্ম ও সৃষ্টিশীল মানবিক মানুষ।
প্রাগৈতিহাসিক যুগ, প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ (প্রাথমিক পর্ব), আধুনিক যুগ (সাম্প্রতিক পর্ব), সমসাময়িক যুগ (বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ), সমসাময়িক যুগ (একবিংশ শতাব্দী) এবং সাম্প্রতিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগ সময়ের সঙ্গে যুগ সম্প্রসারিত হয়েছে, একই সঙ্গে সম্প্রসারিত হতে থাকবে। এছাড়া বিভিন্ন যুগে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন সভ্যতা। যেমন মিসরীয় সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা, প্রাচীন ব্যবিলনীয় সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, পারস্য সভ্যতা, হিট্রাইট সভ্যতা, চীনা সভ্যতা, হিব্রু সভ্যতা, ইজিয়ান সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা, হেলেনিস্টিক সভ্যতা ও রোমান সভ্যতা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আরও ছোট ছোট সভ্যতা জন্ম নিয়েছে এই বুদ্ধিমান প্রাণীর পৃথিবীতে। কিন্তু কোনো যুগ ও সভ্যতা এই শক্তিশালী শব্দগুলোকে একটুও দুর্বল করতে পারেনি এবং শব্দের ঝুলি থেকে একেবারে মুছে ফেলার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শব্দগুলো আরও স্পষ্ট ও শক্তিশালী হচ্ছে। যুগের শুরুতেও যেমন গতানুগতিক সাধারণ মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল, তেমনি স্বল্পসংখ্যক হলেও বিশেষ ব্যক্তিত্বের মানুষও ছিল যারা বৈষম্য, দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও নিপীড়ন এ শব্দগুলোর সঙ্গে সংগ্রাম করে লড়ে গেছেন। কিন্তু তারা জয় ঘরে তুলতে পারেনি। আর শব্দগুলো জয়ী হয়ে এখনও পৃথিবীর বুকে সগর্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
বর্তমান সমসাময়িক সময়ে শব্দগুলোর বিপরীতে কিছু মানুষকে অন্যভাবে ভাবিয়ে তুলছে। তা হচ্ছে মানবিক নেতৃত্ব, মানবিক মানুষ, মানবিক প্রতিষ্ঠান ও মানবিক কর্ম। মানবিক কর্মের অংশ হিসাবে সামাজিক উদ্যোক্তা, সামাজিক কর্ম, সামাজিক নেতৃত্ব, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক বিনিয়োগ ও সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি হয়েছে।
সমাজের জন্য কল্যাণকর তথা সামাজিক কর্ম, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টির জন্য উদ্যোগগ্রহণকারী সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। যেমনÑএনজিও, ফাউন্ডেশন, মিশন, ট্রাস্ট, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন প্রভৃতি সৃষ্টির মাধ্যমে মানবিক সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে এবং নিজের সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানে অন্যের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মানবিক সেবা তৈরিতে এই সামাজিক উদ্যোক্তাদের দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জনগণের মানবিক সেবা তৈরির পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা সমাধান ও সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
সামাজিক উদ্যোক্তা হলো সমাজের মানবিক ব্যক্তিত্ব, চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব, মহৎ ব্যক্তিত্ব, বৈষম্য দূরকারী, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ব্যক্তি, নেতৃত্ব সৃষ্টিকারী, সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিকারী, বঞ্চিতদের পক্ষের মানুষ, নিপীড়নের বিরুদ্ধাচারী, নির্ভীক, সোচ্চার, সংগ্রামী, লোভহীন, সেবা সৃষ্টিকারী, শান্তিকামী ও মানবতা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব। সমাজের জন্য ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর মানবিক মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। সামাজিক উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মুনাফার কোনো সম্পর্ক নেই, মানবিক কর্মই তাদের একমাত্র ধর্ম।
বর্তমানে পুঁজিবাদী সমাজে যখন দরিদ্র জনগণের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাবে জর্জরিত হয়, তখন একশ্রেণির নিঃস্বার্থ পরোপকারী ব্যক্তি বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বার্থে সমাজের বৈষম্য নিরসনে মানবিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করে মানবিক সেবায় আত্মনিয়োগ করে। একই সমাজে বসবাসকারী এক গ্রুপ বৈষম্য সৃষ্টি করে, আরেক গ্রুপ বৈষম্য নিরসনে নিজেদের আত্মনিয়োগ করে।
এক গ্রুপ সম্পদ আহরণে ব্যস্ত থাকে, আরেক গ্রুপ নিজের সম্পদ দিয়ে বৈষম্য দূরীকরণে মানবিক সেবা তৈরি করে। এ যেন সমাজের ভাঙা-গড়ার এক করুণ গল্প। তবে সমাজের এই ভাঙা-গড়ার করুণ গল্পের মহানায়ক সামাজিক উদ্যোক্তা। এই মহানায়করা হলো পৃথিবী পরিচালনায় ভারসাম্য রক্ষাকারী। বৈষম্য সৃষ্টিকারীরা যদি শুধু একের পর এক বৈষম্য সৃষ্টি করে যেত, তাহলে বৈষম্যের হাহাকারে পৃথিবীতে যুদ্ধবিগ্রহ সৃষ্টি হতো, পৃথিবী অশান্ত হতো, পৃথিবী অচল হতো। বৈষম্যের শিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য মানবিক সেবার মাধ্যমে মহানায়কেরা পৃথিবী চলমান রাখেন, একটি বৈষম্যহীন পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নিজেদের আত্মনিয়োগ করেন, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটান, অসহায় ও সম্বলহীন মানুষকে পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে সহায়তা করেন এবং হাত বাড়িয়ে দেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় মানুষের মধ্যে একমাত্র সামাজিক উদ্যোক্তারা দারিদ্র্যের বেদনা, দরিদ্র মানুষের বেদনা, দরিদ্র শিশুর বেদনা, বঞ্চিত মানুষের বেদনা, বঞ্চনার বেদনা, বৈষম্যের বেদনা, দরিদ্র মানুষের না খেয়ে থাকার বেদনা, চিকিৎসার অভাবে দরিদ্র মানুষের মৃত্যু বেদনা, ঘরহীন দরিদ্র মানুষের নির্ঘুম রাতের বেদনা, লাঞ্ছনার বেদনা, তুচ্ছ-তাচ্ছিলের বেদনা, ধনীদের চরম অবহেলার বেদনা, গরিব শিশুর ক্ষুধার বেদনা, গরিব শিশুর অপুষ্টির বেদনা, গরিব শিশুর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু যন্ত্রণা, মর্যাদাহীনতার বেদনা একমাত্র সামাজিক উদ্যোক্তারা হƒদয় দিয়ে অনুভব করতে পারেন। তারা মর্মে মর্মে গরিবের বেদনায় ব্যথিত হয়ে পড়েন। কোনো সুখই তাদের দুঃখ-ভারাক্রান্ত হƒদয়কে সুখী করতে পারে না। এ যেন নিপীড়নের জন্য মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগকারী এক মহামানব।
সামাজিক উদ্যোক্তাদের দ্বারা সৃষ্ট সামাজিক প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যেখানে স্বাস্থ্য চিকিৎসা, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন মানবিক সেবা তৈরি হয়। কোনো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে যখন লাভজনক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং লাভের অংশ মানবকল্যাণে ব্যয় না করা হয়, তখন তা আর সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে না, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য হবে এবং প্রতিষ্ঠাকারী ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা হিসাবে বিবেচিত হবে। যেসব অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা নেই, শিক্ষা কার্যক্রম নেই, দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম নেই, তাদের প্রতিষ্ঠান সামাজিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হবে না। অর্থাৎ সামাজিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর অলাভজনক হসপিটাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অলাভজন সংস্থাগুলো থাকবে। অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের পুঁজি সামাজিক উদ্যোক্তারা সৃষ্টি করে থাকেন। তারা নিজেদের সম্পদ দানের মাধ্যমে অথবা অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে পুঁজি গঠন করেন। তাদের গঠিত পুঁজি বিভিন্নভাবে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত লাভের অর্থে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা জনগণকে প্রদান করে থাকে। এই শক্তিশালী অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের জন্য শক্তিশালী স্থায়ী পুঁজি প্রয়োজন, যা প্রতিষ্ঠানটিকে দীর্ঘকাল মানবিক সেবার জন্য টিকিয়ে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে।
জনগণের জন্য কল্যাণকর সেবা সৃষ্টিকারী অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান সাধারণত দুই ধরনের পুঁজি দ্বারা পরিচালিত হয়। যথা ১. স্থায়ী আমানত,২. অনুদান বা দান কর্তৃক পুঁজি।
স্থায়ী আমানত মূলত সামাজিক উদ্যোক্তা কর্তৃক দানকৃত ও বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত অর্থ, যা স্থায়ী সঞ্চয় বা বিনিয়োগ আকারে থাকে, যার শুধু লভ্যাংশ প্রতিষ্ঠানের সেবাকার্যে ব্যবহƒত হয়।
অনুদান বা দান কর্তৃক সংগৃহীত চলমান অর্থ, যা দ্বারা সম্পূর্ণ বা আংশিক অর্থ সেবাকাজে ব্যবহƒত হয়।
স্থায়ী আমানত বিভিন্ন মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়। যেমন, ১. সঞ্চয়পত্র ক্রয়; ২. এফডিআর; ৩. ডিপিএস; ৪. ব্যবসা (সামাজিক বিনিয়োগ) ও ৬. ক্ষুদ্র ঋণ।
সমাজের জন্য কল্যাণকর সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অধীন বিনিয়োগই হলো সামাজিক বিনিয়োগ, যার মূলধনের মালিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান নিজেই। সামাজিক বিনিয়োগ বা বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা অবশ্যই সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হতে হবে, যা সামাজিক উদ্যোক্তা কর্তৃক সৃষ্ট। অর্থাৎ সামাজিক বিনিয়োগ বা ব্যবসা কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করবে না, যদি না কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালনা না করা হয়। আর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ না করলে সামাজিক বিনিয়োগ বা ব্যবসা সফলতার মুখ দেখবে না বা স্থায়ী হবে না।
বর্তমানে সামাজিক ব্যবসা বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত টপিক। যে ব্যবসার বিনিয়োগকারী যে কোনো ব্যক্তি হতে পারেন এবং পরবর্তীকালে বিনিয়োগকারী তার মূলধন ফেরত নিতে পারে কোনো লভ্যাংশ ছাড়া।
পৃথিবীর যে কোনো মানুষের সম্পদ বা অর্থে মানুষের জন্য কল্যাণকর সেবা বা সামাজিক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা যায় না। কারণ সব মানুষ সামাজিক উদ্যোক্তার গুণাবলি অর্জন করে সামাজিক উদ্যোক্তা হতে পারে না। নিজের সম্পদ দান করে নিজেকে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করে মানুষের জীবন-জীবিকার সহায়ক ভূমিকা পালন করা কতটা কঠিন ও দুর্লভ বিষয়, তা কঠিনভাবে অনুভবের বিষয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ ধনীর পক্ষে এই সৌভাগ্যবান উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব নয়। এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
প্রচলিত সামাজিক ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য সমাজকল্যাণ, যার মূল অর্থ বিনিয়োগকারী আবার যে কোনো ব্যক্তি হতে পারে, কিন্তু কোনো সামাজিক উদ্যোক্তা নয়। তাই যে কোনো ব্যক্তির অর্থে সমাজের জন্য কল্যাণকর কিছু করা সম্ভব হয় না বলে সফলতার সম্ভাবনা খুব কম। অর্থাৎ যে কোনো ব্যক্তির মূলধনে সামাজিক সেবা, সামাজিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক বিনিয়োগ ও সামাজিক ব্যবসা সম্ভব নয়।
আবার অন্যদিকে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী আমানতের বিভিন্ন বিনিয়োগের একটি খুবই ক্ষুদ্র অংশ হলো ব্যবসায়িক বিনিয়োগ বা সামাজিক বিনিয়োগ, যাকে আমরা সামাজিক ব্যবসা হিসাবে ধরে নিতে পারি। সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে এই সামাজিক বিনিয়োগ বা ধরে নেয়া এই সামাজিক ব্যবসায় লাভবান বা সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে এই ব্যবসার একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো রয়েছে এবং নিজস্ব মূলধন রয়েছে। সামাজিক প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী আমানতের বিভিন্নভাবে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় সামাজিক বিনিয়োগ বা ধরে নেওয়া সামাজিক ব্যবসা সফল না হলেও তা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের স্থায়ীভাবে টিকে থাকা বা জনকল্যাণমুখী সেবা তৈরিতে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজি পরিকল্পিত ফ্রেম ওয়ার্কে বিনিয়োগ করায় কখনও পুঁজি শেষ হবে না।
সামাজিক ব্যবসার উদ্দেশ্য মহৎ একটি মানবিক কর্ম। কিন্তু সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে সামাজিক প্রতিষ্ঠানে পুঁজিতে ব্যবসা পরিচালিত হলে তাতে একদিকে যেমন সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, তেমনি অন্যদিকে সমাজের জন্য সমাজের মানুষের জন্য কল্যাণকর সেবা তৈরি করা সহজ হবে, যা একটি বড় মাপের সেবাকর্ম।
পৃথিবীর মানুষের স্বার্থে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থে, বঞ্চিত মানুষের স্বার্থে, বৈষম্য দূর করতে, শান্তিময় পৃথিবী সৃষ্টির লক্ষ্যে, দরিদ্র শিশুর সুন্দর সোনালি ভবিষ্যতের স্বার্থে জয় হোক সামাজিক উদ্যোক্তার, জয় হোক সামাজিক প্রতিষ্ঠানের, জয় হোক সামাজিক বিনিয়োগের।
লেখক ও গবেষক
zia.rahman14@yahoo.com