রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকালও নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। তবে সামান্য আশার আলো দেখা গেছে গতকাল। এদিন সবচেয়ে ভালো মৌলভিত্তির ৩০ কোম্পানি দিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে। আর আগের দিন মাত্র ৬৭টি কোম্পানির দর বাড়লেও গতকাল বেড়েছে ১১৩টির। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসে সূচকের গতিবিধি অনুযায়ী, বিক্রির চাপে সূচক ধারাবাহিকভাবে নেমে গেছে। গতকাল লেনদেন শুরুর দিকে একপর্যায়ে সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। এ সময় শেয়ার কেনার একটি চাপ তৈরি হয়েছিল। আর সূচকের পতনও আগের দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল। তাই বলা যায়, আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল বাজার সামান্য ইতিবাচক হয়েছে।
আগের দিনে বিক্রির চাপে ব্যাংক খাতে ১০৬ কোটি টাকা লেনদেন হলেও গতকাল লেনদেন নেমে আসে প্রায় ৮৩ কোটি টাকায়। এদিন এ খাতের ৩০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৩৯ শতাংশের। মোট লেনদেনের ২০ শতাংশ ছিল এ খাতে। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় প্রায় ৮৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২০ শতাংশ। এ খাতের দুর্বল মৌলভিত্তির সাফকো স্পিনিং, হা-ওয়েল টেক্সটাইলস, ইয়াকিন পলিমার দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। ড্রাগন সোয়েটার ১৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে বাজারে নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে শেয়ারটির দর কমেছে ৩০ পয়সা। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ খরচের হিসাব আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শন না করায় গতকাল বিএসইসির কমিশন সভায় ড্রাগন সোয়েটারকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রকৌশল খাতে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি টাকা। এ খাতের ন্যাশনাল টিউবস দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। গতকাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন বেড়েছে ১৫ কোটি টাকা। এ খাতের ৫০ শতাংশ শেয়ারের দর ইতিবাচক ছিল। ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৫০ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। কমেছে ২৫ শতাংশের। তবে লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল। এ খাতের ম্যারিকো দরবৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। টেলিযোগাযোগ খাত শতভাগ নেতিবাচক ছিল। দর কমলেও গ্রামীণফোন লেনদেনের শীর্ষ পর্যায়ে ছিল। লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্যারামাউন্ট টেক্স, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ সুরমা, ন্যাশনাল টিউবস, ইফাদ অটোস। এর মধ্যে স্কয়ার ফার্মা বিদেশের মাটিতে ওষুধ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এমন খবরে শেয়ারটির দর ও লেনদেন বাড়ছে। গতকাল দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ‘জেড’ ক্যাটেগরির জুট স্পিনার্স, আজিজ পাইপস, জনতা ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, শাইনপুকুর সিরামিকস, জিলবাংলা, সমতা লেদার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস, বঙ্গজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, হাক্কানি পাল্প। দুর্বল এসব কোম্পানির দর ৩ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।