Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 8:47 am

সামিট অয়েলের সঙ্গে সামিট পাওয়ারের চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড এবং তার সহযোগী কো-স্পন্সর কোম্পানি সামিট করপোরেশন লিমিটেড। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের বকেয়া এলসি নিষ্পত্তি এবং নতুন এলসির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করবে সামিট পাওয়ার ও সামিট করপোরেশন। একই সঙ্গে নিজ নিজ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অধীনে প্রকল্প কোম্পানিগুলোর বাধ্যবাধকতা অনুসারে সামিট বরিশাল পাওয়ার, সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার ইউনিট ২ লিমিটেড, এসিই অ্যালায়েন্স পাওয়ার লিমিটেড এবং সামিট গাজীপুর ২ পাওয়ার লিমিটেড যাতে তাদের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও ধারবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে পারে এজন্য অর্থ সরবরাহ করবে কোম্পানি দুটি। স্থানীয় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় ঋণ গ্রহণ করে বা সামিট পাওয়ারের নিজস্ব উৎস থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কোম্পানিতে স্পন্সর কোম্পানির ইক্যুয়িটি শেয়ারহোল্ডিংয়ের অনুপাতে অগ্রিম হিসেবে এই অর্থ প্রদান করা হবে।

এদিকে সম্প্রতি সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৯১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ অক্টোবর। এর আগে গত ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। সে সময়ে ইপিএস হয়েছিল পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর ওই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল আট টাকা ৫৩ পয়সা।

উল্লেখ্য, সামিট পাওয়ার লিমিটেড ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৯৬ কোটি এক লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৩ দশমিক ২১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।