Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:59 am

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ঋণমান ‘এএ২’ ও ‘এসটি-২’

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ২’ আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের অবস্থা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৬৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৩ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিদেশিদের কাছে তিন দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা, আর ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা, আর ৩০ জুন ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩৪ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ৩০ জুন ২০২১ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৭৯ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল ৮৪ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৩৩ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৩ টাকা ৮৪ পয়সা। সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২২ দশমিক ০৭ এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং বাজারদরের ভিত্তিতে পিই রেশিও ১৫ দশমিক ০৫।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ১৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৯২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৮১ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৩ টাকা ১১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ২৭ পয়সা; অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ২৮ পয়সা।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ২ লাখ ৪ হাজার ৬৯৭ শেয়ার মোট ২৭৮ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৫৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৭ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২৮ টাকায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বনি¤œ ২৫ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।