নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মদনগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জনা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, সামিট পাওয়ার লিমিটেডের মদনগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়ায় মদনগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদন গত ১ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তবে সামিট পাওয়ার ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে।
এদিকে সামিট পাওয়ার ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৫৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিত সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ অক্টোবর।
এর আগে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বমোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সামিট পাওয়ার। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪২ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৭৮ পয়সা, ৩২ টাকা ৪০ পয়সা ও পাঁচ টাকা ৬৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭৭১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৩ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ শতাংশ, বিদেশি বিনোয়োগকারীদের কাছে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ৯ দশমিক শূন্য তিন এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক ৪০।