নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড এবং বিমা খাতের প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। আর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের স্টেকহোল্ডারদের উদ্দেশে প্রাপ্ত রেটিং প্রকাশ করেছে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড : কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ২৯ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ২০ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা।
সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদঅর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৫৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বমোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪২ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৯৬ কোটি এক লাখ টাকা।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: কোম্পানিটি দাবি পরিশোধের সক্ষমতায় রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬২ পয়সা।
বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি ৮৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি আট লাখ ৭৭ হাজার ৪৯৮ শেয়ার রয়েছে।
