সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ইসলাম

একটি দেশে বহু সম্প্রদায়ের, ভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে থাকে। হতে পারে তারা মুসলিম, হতে পারে হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ। এসব গোত্র, সমাজের মধ্যে সম্প্রীতির মিল বন্ধনে ইসলাম কখনও ভিন্ন মত ধারণ করতে শেখায়নি। কখনও একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে বলেনি। কেউ বিপদে পড়লে তাকে না বাঁচিয়ে বিপদের মধ্যে রেখে আসার কথা ইসলাম কখনও শিক্ষা দেয়নি। বরং সমাজ, গোত্র, সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে ইসলাম শিখেয়েছে মানুষকে ভালোবাসতে, মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে আর অন্য মত, আদর্শ, ধর্মকে সম্মান করতে। আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)  তিনিও আমাদের অন্য গোষ্ঠী কিংবা ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা আচার-আচরণে নিষেধ করেছেন। তিনি প্রতিটি মানুষের প্রতি ছিলেন উদার এবং মানবিক। ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী হিসাব করে তিনি কখনও বিচারকার্যও পরিচালনা করেননি। কারও প্রতি জুলুম-অবিচার করাও তিনি পছন্দ করতেন না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জেনে রেখ, কোনো মুসলিম যদি অমুসলিম নাগরিকের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করে, তার কোনো অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করে, তার কোনো জিনিস বা সহায়-সম্পদ জোরপূর্বক কেড়ে নেয় তবে কেয়ামতের দিন আল্লাহর বিচারের কাঠগড়ায় আমি তাদের বিপক্ষে অমুসলিমদের পক্ষে অবস্থান করব।’ (আবু দাউদ)। সুতরাং ইসলাম এবং মহানবী হজরত

মুহাম্মদ (সা.) তিনিও প্রতিটি প্রাণী, ধর্ম, গোত্রের প্রতি যে শ্রদ্ধাশীল এবং সহনশীল ছিলেন সেটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

আল্লাহ কোরআনে বলছেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেয়নি তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেননি। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।’ সুতরাং কোনোভাবেই আমাদের উচিত নয় অন্যের ধর্ম কিংবা সমাজকে ছোট করা, কটু কথা বলা কিংবা ধর্মীয় উৎসবে বাধা দেয়া।

রিয়াদ হোসেন

শিক্ষার্থী, সরকারি বিএল কলেজ

খুলনা

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০