নিজস্ব প্রতিবেদক : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছে আইন শৃংখলা বাহিনী। বুদ্ধ পূর্ণিমা ঘিরে কোথাও নিরাপত্তার শংকা নাই। বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি আরও বলেন, যেকোনও ধর্মের উৎসব আয়োজনে সরকারের নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য যে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন, সে নির্দেশনা মতো আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছি। সম্প্রীতির যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে দেশে, তা বিশ্বের বুকে একটি নজির স্থাপন করেছে।
আইজিপি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যখনই কোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটছে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনায় আমাদের সাফল্য রয়েছে। হঠাৎ কোনও একটা ক্রাইম রাইস করে কিন্তু আপনি দেখেন যে গত মাসে এর আগের মাসে কমে এসেছে। এসব বিষয়ে আস্তে আস্তে আরও কমে আসবে। আমাদের যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেসব ব্যবস্থা নিচ্ছি। অপরাধী যে-ই হোক, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, গ্লোবাল টেরোরিস্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির অনুসারে আমরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, যার কারণে যেকোনও তথ্য পেয়েছি জনগণের কাছ থেকে।
আইজিপি বলেন, সব গোয়েন্দা সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছি। যে কারণে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আমরা সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। যেকোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সব ধর্মপ্রাণ ভাইবোন যারা আছেন, তারা নিজেদের ধর্ম যাতে যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে পারেন, এ জন্য তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে আসছি।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের পাশে আছি। যেকোনও সহায়তার জন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি ট্রিপল নাইনে ফোন করারও পরামর্শ দেন আইজিপি।