Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:14 am

সায়হাম টেক্সটাইলের ঋণমান ‘এএ মাইনাস’ ও ‘এসটি-২’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের কোম্পানি সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ মাইনাস’ আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড।

বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন করছে। কোম্পানিটির ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯০ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি পাঁচ লাখ ৬২ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি, ২০২৪-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৭ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস ৬৯ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই ২০২৩-মার্চ ২০২৪) তাদের ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৭ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে তাদের ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ২১ পয়সা। এছাড়া ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৩৬ পয়সা।

এছাড়া প্রথম তিন প্রান্তিকে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৬ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮ টাকা ৩৫ পয়সা (ঘাটতি)। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৯ পয়সা (লোকসান), আর ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৮৪ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ২২ পয়সা (ঘাটতি)।

এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল এক টাকা ৩৭ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৪৩ টাকা ৪০ পয়সা। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ২ টাকা ১২ পয়সা।