সারাদেশে বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় আগামী ১১ মার্চ সারাদেশে মহানগর ও জেলায় মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

বিএনপির পদযাত্রা উপলক্ষে রংপুর শহরের একাধিক সড়কে মিছিল করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে রংপুর মেট্রোপলিটনের ছয়টি থানায় বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরদিকে বিকাল ৪টা থেকে ওই ছয় থানায় শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।

এদিকে সিলেট মহানগরের তিন জায়গায় বিক্ষোভ পদযাত্রা করে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে ঘোষিত এ কর্মসূচিতে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অংশ নেবেন। পদযাত্রার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগও। দলটি নগরের ৯টি স্থানে শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

সিলেটে এ নিয়ে ২৮ দিনের ব্যবধানে চার দফা ‘পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি’ নিয়ে মাঠে নামে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। যদিও আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন থানায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও নগরীতে পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের পদযাত্রায় উত্তরা পূর্ব থানায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গুলশানে ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ, কাফরুলে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, পল্লবীতে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, দক্ষিণখান থানায় জয়নুল আবদিন ফারুক নেতৃত্ব দিয়েছেন।

অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণের থানাগুলোর মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বংশালে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শাহবাগে

মির্জা আব্বাস, শাহাজানপুরে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ড. ফরহাদ হালিম ডোনার চকবাজারের পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।

পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশের জনগণ আর কোনো তামাশার নির্বাচন হতে দেবে না। তারা (আওয়ামী লীগ) মনে করেছে, এভাবে নির্বাচন করবে, আবারও তারা এভাবে জনগণকে শোষণ করবে, জনগণের সম্পদ লুটপাট করবে।’

শাহবাগের পদযাত্রার আগে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে না গেলে কে সংকটে পড়বে, সেটা দেখার বিষয়। বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায়, তাহলে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। সুতরাং বিএনপি কারও হুমকি-ধমকিতে ভয় পায় না।’

‘সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশের মানুষ বাঁচবে না’ বলে মন্তব্য করে দলের জ্যেষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ যাত্রাবাড়ী থেকে নেতৃত্ব দেয়া পদযাত্রায় বলেন, ‘এ দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তা না হলে দেশের মানুষ বাঁচবে না।’

এদিকে কারওয়ানবাজারে বিএনপির পদযাত্রা শেষে বেলা ২টার পর গ্রেপ্তার করা হয় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলমকে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, কারওয়ানবাজারে বিএনপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রায় যোগ দেন সাইফুল আলম। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, পদযাত্রা শেষে সাইফুল আলম ও তার সঙ্গে থাকা কর্মীরা এফডিসির সামনে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ঢিল ছুড়তে থাকেন ও আক্রমণ করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতের সাতটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। আজ রোববার যুবদলের সাবেক এ নেতাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০