নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পাঁচটি বিভাগে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় দুই বিভাগে পাহাড়ধসের শঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এরই মধ্যে সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কক্সবাজারে রাতভর ভারী বৃষ্টিতে চার জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ১১ জুলাই বেলা ১১টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কয়েক দিন সারাদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে ওই দুই এলাকাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে আরও পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে পাহাড়ের কাছে ও নিচে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের জন্য দেয়া পূর্বাভাসে সংস্থাটি বলেছে, দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানি সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে। ওইসব অববাহিকা ও উজানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের নদ-নদীর ১১০টি পয়েন্টের ৬১টিতে পানি বাড়ছে। আর ৪৭টিতে পানি কমছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও সুরমার পানি বিপৎসীমার ৪০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সিলেটের উজানে ভারতে চেরাপুঞ্জিতে আবারও অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।