প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: চলতি বছরে সারাবিশ্বে যত ইলিশ মাছ উৎপাদিত হয়েছে তার ৮০ শতাংশ বাংলাদেশের। বিশ্বের কাছে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের যে সুখ্যাতি ও অবস্থান হয়েছে তা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় উপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে হয়েছে। আমরা আজকে যে জাটকা সংগ্রহণ সপ্তাহ পালন করছি তার লক্ষ কেউ যেন জাটকা আহরণসহ বিপনন ও বাজারজাত না করে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে মুন্সীগঞ্জের সরকারি লৌহজং কলেজ প্রাঙ্গণে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালভাবে যুক্ত হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, এই ছোট ছোট জাটকা আমরা বা মৎস্য কর্মকর্তা ধরতে যাব না। এই মাছ শুধু মৎস্যজীবীরা ধরে। অথচ এ মাছ বড় হলে তারাই কিন্ত বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা পায়। এদিকে সাধারণ মানুষ বড় মাছের স্বাদ পাবে। সুতরাং এখন আমরা যদি জাটকা নিধন বন্ধ না করি, তাহলে এই জাটকা মাছগুলো ইলিশ মাছে পরিপক্ব হতে পারবে না। তাই সকলে একত্রিত হয়ে জাটকা নিধন বন্ধে এক সাথে কাজ করতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন (এমিলি), বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন প্রমুখ।
পরে লৌহজংয়ের পদ্মা নদীতে এক বর্ণাঢ্য নৌ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর, থাকার দোহার, মাদারীপুরে শিবচর ও শরিয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদেরগঞ্জ এর জেলেরা এ নৌ রেলি ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ থেকে আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। এসময় সকল জাটকা নিধন, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ বেআইনি।
