মো. ইমরান হোসেন: একটা যুগ ছিল যখন চিঠি আদান-প্রদান হতো। কালের বিবর্তনে তা বিলুপ্তপ্রায়। বর্তমানে এখন একটা অ্যাপ এসেছে, যেটাকে উড়োচিঠির বাক্স বলা হচ্ছে। নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, অ্যাপটির নাম সারাহাহ্। এই উড়োচিঠির খেলায় মেতে উঠেছে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
সারাহাহ ডাউনলোড করে বন্ধুদের মধ্যে উড়োচিঠির মাধ্যমে মনের কথা ব্যক্ত করা যায়। তবে প্রেরকের পরিচয় উহ্য থাকে এখানে। কী লিখছে বা লিখবে, কী মেসেজ আসছে সে সম্পর্কে আগেভাগে কোনো ধারণাই পান না প্রাপক। ফলে ফানি অ্যাপ হিসেবে জনপ্রিয় হয়েছে সারাহাহ্।
অনেক সময় দেখা যায়, কিছু আপত্তিকর লেখা আসছে প্রাপকের কাছে। বিব্রত করার জন্য কিছু লিখে পাঠাচ্ছেন কেউ। একে হালকাভাবে নিলে কোনো সমস্যা নেই। যদি সিরিয়াসলি নিতে চান তাহলেই ঘটবে বিপত্তি। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ব্যবহারকারী দেখতে চান প্রেরককে। সঙ্গত কারণে তিক্ততা শুরু হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সাইবার নিপীড়নের শিকার হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সারাহাহ্ অ্যাপের জনপ্রিয়তার সুযোগে বেশ কিছু প্রতারণামূলক সাইট তৈরি হয়েছে। উড়োচিঠির উৎস খুঁজতে অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত কয়েকটি ভুয়া সাইটের লিংক ছড়িয়ে পড়ছে। ওই লিংকগুলোতে ক্লিক করা হলে ব্যক্তিগত তথ্য অন্যত্র চলে যেতে পারে। ফলে অর্থ হারানোর আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।
সারাহাহ্তে কে বার্তা পাঠাচ্ছে তা বের করে দেওয়া হবেÑএ ধরনের লিংকে ভুলেও ক্লিক করবেন না। ক্লিক করার পর আপনার ডেটা চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে। এতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রতারণা করছে এমন একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে
‘সারাহাহ্এক্সপোজড ডটকম’। এতে প্রেরকের পরিচয় বের করে দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সারাহাহ্ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের সাইটে ব্যক্তিগত তথ্য এনক্রিপ্টেড। তাই অন্য কোনো সাইটে প্রেরকের তথ্য থাকে না।
ওই ভুয়া সাইটগুলোয় গেলে নাম-পরিচয় দেওয়ার পর ফাইন্ড সেন্ডারে ক্লিক করতে বলা হয়। ক্লিক করার পর বিভিন্ন জরিপের ফরম পূরণ করার নির্দেশ পাওয়া যায়। এভাবে কয়েকটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা।
Add Comment