Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:42 pm

সারা বছর সেন্টমার্টিন যাত্রায় চালু হচ্ছে ‘সি প্লেন’

প্রতিনিধি, কক্সবাজার : কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা যাতে সারা বছর প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন যেতে পারেন, সেজন্য সি প্লেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার। তবে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সীমিত পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করতে পারবেন। এজন্য সব পর্যটকের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অব ক্যাপস্টোন কোর্সের ফেলোদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন পর্যটকরা। এতে একসঙ্গে বিপুল পর্যটক ভ্রমণে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। ফলে প্রতিদিন অল্পসংখ্যক পর্যটক যাতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারেন, সেজন্য সি প্লেন দরকার। তাই তা দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এই জেলায় অভাবনীয় উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। চলমান উন্নয়ন ছাড়াও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারকে সর্বোচ্চ সুন্দর ও ট্যুরিজম জোন হিসেবে গড়ে তুলতে মাস্টারপ্ল্যানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ কেব্ল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সি অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট ও চৌলদন্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজম করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব এই উন্নয়নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের সবচেয়ে বড় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কউক কর্তৃক যে মাস্টারপ্ল্যান নেয়া হয়েছে, তা একেএকে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে এবং মেগা প্রকল্পসহ অনেক প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফুট প্রশস্তকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কউক। বিদেশি পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে এসে মুদ্রা বিনিময় করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

এ সময় কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেলোদের সামনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি প্রমোশন ট্যুরিজম, ইকোনমির সম্পদ ব্যবহার করা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজন ওপর ফোকাস, বঙ্গোপসাগরে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কাজে লাগানো, রোহিঙ্গা সংকট এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের দিকে নজর রাখার বিষয় উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় কোর্সের ফেলোদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, মোহাম্মদ শিবলী সাদিক, মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, এমএ মতিন, সুবর্ণ মোস্তফা, আমিরুল আলম মিলন, আনজুম সুলতানা সীমা, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, অতিরিক্ত সচিব তারেকুল ইসলাম, ফেরদৌসী শাহরিয়ার, ড. সালমা মমতাজ, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বেলালুর রহমান, অ্যাসিস্টেন্ট চিফ অব নেভাল স্টাফ রিয়ার অ্যাডমিরাল জহির উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড মহাকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফখরুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম ফজলুর রহমান প্রমুখ।