সাইফুজ্জামান সুমন: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্কিট ব্রেকারের নতুন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল পুঁজিবাজারে বড় উত্থান দেখা গেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর আগের দিনের ক্লোজিং প্রাইজের চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কমতে পারবে; তবে বাড়তে পারবে আগের মতোই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এর আগে শেয়ারদর কমার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ছিল অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দর কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে নতুন নির্দেশনা কার্যকরের প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবারও পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে বড় উত্থান হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫৬ পয়েন্ট বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে প্রায় দেড়শত পয়েন্ট। আজ সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ শেয়ারের দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে। আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৫.৯৫ পয়েন্ট বা ০.৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৬২.৩৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১০.৫০ পয়েন্ট বা ০.৭২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪.২৩ পয়েন্ট বা ০.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬৪.৬২ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৭৪.৮০৭ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ (বৃহস্পতিবার) টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭৫৪ কোটি ০৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৪৮ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৬০৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। ডিএসইতে আজ (বৃহস্পতিবার) ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০০টির বা ৭৮.৯৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৫৫টির বা ১৪.৪৭ শতাংশের এবং ২৫টি বা ৬.৫৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৪৭.৪৫ পয়েন্ট বা ০.৭৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৯৭.৪৬ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৯১টির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর। আজ (বৃহস্পতিবার) সিএসইতে ৩২ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।