নিজস্ব প্রতিবেদক: মসুর ডাল ও সার কেনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার মন্ত্রী পরিষদ ভবনের চতুর্থ তলায় ক্রয় কমিটির বৈঠক হয়। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ তাতে সভাপতিত্ব করেন। অন্তত আটজন উপদেষ্টাকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কাতার থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। প্রতি টন ৩৪৪ দশমিক ৫০ ডলার হিসেবে ওই সার কিনতে মোট ১২১ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে বাংলাদেশের বহুজাতিক সার কারখানা কাফকো থেকে কেনা হচ্ছে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার। প্রতি টন ৩৩২.৭৫ ডলার দরে মোট খরচ হবে ১১৭ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তৃতীয় প্রস্তাবে কাতারের মুনতাজাত থেকে কেনা হচ্ছে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার। প্রতি টন ৩৩৯.১৭ ডলার হিসাবে এতে মোট খরচ হচ্ছে ১২০ কোটি ৬ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ৫০ কেজির বস্তার ২০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হচ্ছে উš§ুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে। এতে খরচ হবে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সারের সরবরাহ আমরা কোনোভাবেই কমতে দেব না। আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমরা কিনব। গতকাল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল সার ক্রয় ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মসুর ডাল ক্রয়। আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এর জন্য যা অর্থকড়ি লাগে সেটা ফরেন কারেন্সিতে হোক, আমরা দেব। এটা দ্রুতই করতে হবে।’
একই ব্যক্তিকে সরকার ও দলীয়প্রধান না করার সুপারিশ টিআইবির