সালিশি বৈঠক শেষে শরীরে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুরে সালিশি বৈঠক শেষে শরীরে আগুন দিয়ে সোমা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার পরিবারের দাবি- ওই গৃহবধূর শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরআগে গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) উপজেলার বোয়ালী পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোমা আক্তার সখীপুর উপজেলার বোয়ালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের এরশাদ মিয়ার স্ত্রী এবং মির্জাপুর উপজেলার গায়রাবেতিল গ্রামের নইমুদ্দিনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার বছর আগে এরশাদ মিয়া প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে সোমা আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এছাড়াও প্রথম স্ত্রীর ঘরে ১৫ বছরের একজন সন্তানের বিষয়টিও গোপন রাখা হয়। বিষয়টি নিয়ে সোমা আক্তার ও এরশাদ মিয়ার সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে গত শনিবার দুপুরে এরশাদের বাড়িতে একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে সোমা নিজেই শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এসময় আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

বিষয়টি জানতে সালিশি বৈঠকে উপস্থিত থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেনি। 

নিহত সোমা আক্তারের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘এরশাদ তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে আমার মেয়েকে বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার ১৫ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিয়ের পর থেকেই ঝামেলা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতেই সোমার ঘরে একটি সন্তান জন্ম হয়। এরশাদ তার শিশু সন্তানকেও দেখাশোনা করছিল না। পরে আমি শিশুটির ভরণপোষণ করতেছি। পারিবারিক কলহ থাকায় আমার মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মেম্বার দায়িত্ব নিয়েছিল। সালিশের পর এরশাদ ও তার শ^শুর-শাশুড়ী মিলে সোমার শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূইঁয়া বলেন, ‘আগুনে পুড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০