সাহরি ও ইফতারের জন্য আদর্শ খাবার ও পুষ্টি

গতকালের পর

আমরা অনেকে যে ভুলটা করি; ইফতার করার সময় সঙ্গে সঙ্গে এক দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিই। এতে অস্বস্তি হতে পারে, পেট ফাঁপা হতে পারে, গ্যাসের সমস্যা হয়ে হজমের ব্যাঘাত করতে পারে। তাই এ সময়ে অতিরিক্ত পানি পান না করে প্রথমে এক ঢোক বা দুই ঢোক বিশুদ্ধ পানি পান করে খেজুর খেয়ে তারপরে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শরবত খেতে পারি। ডাবের পানি, বেলের শরবত কিংবা তরমুজের শরবত। এগুলো চিনিমুক্ত হতে হবে অথবা বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল দিয়েও আমরা শরবত করে খেতে পারি।

দই চিড়া কলা: ইফতারের শুরুতে অতিরিক্ত তেলে ভাজাপোড়া খাবার না দিয়ে যদি আমরা দই চিড়া কলা কিংবা ওটস দুধ কলা এই জাতীয় সুষম খাবার এবং ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার দিয়ে যদি আমরা ইফতার গ্রহণ করি তাহলে এ গরমে স্বস্তি এবং সুস্থতা দুটিই পাব। টকদইতে পাব পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোবায়োটিক। চিড়া বা ওটস দুটোই কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং একটি কলা থেকেই কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম এবং আয়রন পেতে পারি।

সবজি খিচুড়ি: বাজারের এ ঊর্ধ্বগতির সময় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য একটু মুখেরোচক ইফতার করতে চাইলে পাঁচমিশালি ডাল, চাল এবং নানা রকমের সবজি দিয়ে একটি পাতলা সবজি খিচুড়ি কিংবা ফিস ফাস করতে পারি।

ছোলা: ছোলা বা বুট অতিরিক্ত গুরুপাক না করে কাঁচা খেতে পারি কিংবা অল্প একটু ছোলা বা বুট সিদ্ধ তেলে একটু হালকা পেঁয়াজ কাঁচামরিচ দিয়ে শসা কুচি, গাজর, টমেটো, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা ও সরিষার তেল দিয়ে সালাদ করে খেতে পারি।

তাজা ও মৌসুমি ফল ও শাক সবজি: ইফতার টেবিলে সহজলভ্যতা অনুযায়ী তিন থেকে চার রকমের মৌসুমি ফল রাখতে হবে।

ভালো মানের ফ্যাট ও বাদাম: ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভালোমানের ফ্যাট পেতে হলে পরিমাণ মতো বিভিন্ন ধরনের বাদাম রাখতে পারেন সন্ধ্যা রাতের খাবারে। এছাড়া চিয়া সিড, তোকমা, তিলের বিচি, মিষ্টিকুমড়ার বিচি, তিসির বিচি খেতে পারেন নানা ধরনের রেসিপি করে। [শেষ]

সামসুন নাহার স্মৃতি

 পুষ্টিবিদ

উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল

উত্তরা, ঢাকা

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০