শেয়ার বিজ ডেস্ক : ২০১৮ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ১১ হাজার কোটি ইউয়ান বা ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সামরিক বাজেট ঘোষণা করেছে চীন। গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আট শতাংশ বাজেট বাড়ানো হয়েছে। দেশটির চলমান সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী লি কেশিয়াং এ বাজেট ঘোষণা করেন। এছাড়া দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খবর বিবিসি।
চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (এনপিসি) প্রেসিডেন্টের মেয়াদ দুইবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ধারাটিকে পরিবর্তনের উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইচ্ছামতো ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। চীনের অভ্যন্তরেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হলেও এ পদক্ষেপ শি জিনপিংকে দেশটির নেতা মাও সেতুংয়ের মতো ক্ষমতাবান করে তুলবে।
চীন সরকার বলছে, তাদের এবারের বাজেট তিনটি প্রধান লক্ষ্য মাথায় রেখে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করা, ক্রমবর্ধমান দূষণ কমানো ও দরিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা। পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী লি নতুন সামরিক বাজেট ঘোষণা দেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর মালিক চীন তার সেনাদের আধুনিকায়ন অব্যাহত রেখেছে। দেশটি দক্ষিণ চীন সাগর ও হিমালয়ের সীমান্ত এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজও করে যাচ্ছে। তাই এ সামরিক বাজেট বৃদ্ধিকে চীনের কৌশলগত লক্ষ্যের জন্য ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এ পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রসহ চীনের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষরা উদ্বিগ্ন হতে পারে।
চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। বেশ কয়েক বছরের দ্রুত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে দেশটির লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে। দেশটিতে এখন বিশাল সংখ্যক মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে।
