নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৫ লাখ ৫২ হাজার শলাকার সিগারেটের একটি বড় চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। চালানটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে খেজুর ঘোষণায় চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছিল, যার মাধ্যমে সাত কোটি ১১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির আশঙ্কা ছিল। তবে কাস্টম হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের (পিসিইউ) তৎপরতায় আমদানিকারকের শেষ রক্ষা হয়নি।
গতকাল বিকালে বিষয়টি শেয়ার বিজকে নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার দায়িত্বে থাকা উপকমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পিসিইউ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রপ্তানিকারক, তৈরিকারক দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসায়ের ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে পণ্যচালানটিতে অসত্য ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে। পরবর্তীকালে অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা পণ্য চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য বিল অব ল্যাডিং লক করে। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারক কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। ফলে গত রোববার (২৪ এপ্রিল) চালানটি কায়িক পরীক্ষার জন্য কনটেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করা হয়। এ সময় কনটেইনার ডিপোর অভ্যন্তরে খুলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। তখন কনটেইনারে রক্ষিত দুই হাজার ৭৭২টি কার্টনের মধ্যে এক হাজার ৯৮৩টি কার্টনে সুকৌশলে প্যাকেটের ভেতরে উপরিভগে খেজুর দিয়ে নিš§ভাগে লুকায়িত মন্ড ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট রাখা দেখা যায়। বাকি ৭৮৯টি কার্টনে শুধু খেজুর পাওয়া যায়। এসব কার্টনের মধ্যে ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৪০০ শলাকা মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়, যার আমদানিমূল্য এক কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর বিপরীতে সাত কোটি ১১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এছাড়া চালানটিতে ১১ হাজার ৮৫৬ কেজি খেজুর পাওয়া যায়।
চালানটি চট্টগ্রাম কোতয়ালি থানার জুবলি রোড তিন পোলের মাথা কাদের টাওয়ার ঠিকানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সুচনা ইন্টারন্যাশনাল আমদানি করে। যার স্বত্বাধিকারী ফটিকছড়ির বক্তাপুরের জাহাঙ্গীর আলম। ৪০ ফুট সাইজের খেজুর (সিগারেট) আমদানির জন্য গেøাবাল ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এলসি ইস্যু করা হয়।
শরফুদ্দিন মিঞা আরও বলেন, পণ্যচালানটি শর্তসাপেক্ষে আমদানিযোগ্য। কিন্তু আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণায় সিগারেট আমদানি করে প্রায় সাত কোটি ১১ লাখ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রæত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার ফখরুল আলম।
