Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 6:56 pm

সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ১৬ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৯ হাজার ৬৮০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ১৬ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৯১ কোটি তিন লাখ টাকা এবং ৮৯ কোটি দুই লাখ টাকা পাওয়া যাবে সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় ‘সীমান্ত সড়ক (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) নির্মাণ (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদারে সরকার পার্বত্য জেলায় ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ৩১৭ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে একনেক এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সীমান্ত সুরক্ষা বাড়বে বলে আশা করছে সরকার।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতর জুলাই, ২০১৭ হতে জুন, ২০২১ মেয়াদকালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। একনেকে অনুমোদন পাওয়া ১৬ প্রকল্পের মধ্যে ১২টি নতুন প্রকল্প এবং চারটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।

অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধাদির উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৩৫০ কোটি ৫১ লাখ টাকা। জেলা মহসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের (ঢাকা জোন) খরচ ধরা হয়েছে ৫৫৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ভবেরচর-গজারিয়া- মুন্সীগঞ্জ জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮০ কোটি ছয় লাখ টাকা। সিলেট সিটি করপোরেশনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা কার্যালয়ের ২০ তলার দুটি বেইজমেন্টসহ ১০ তলা প্রধান কার্যালয় নির্মাণকাজ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। নোয়াখালী সদরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৯ কোটি ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের সদর দফতর নির্মাণ প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলাধীন তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙন হতে বকসী লঞ্চঘাট হতে বাবুরহাট লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রতিরক্ষা ও ড্রেজিং এবং কুকরি-মুকরি দ্বীপ বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

মেঘনা নদীর ভাঙন হতে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলাধীন লর্ডহার্ডিঞ্জ ও ধলিগৌরনগর বাজার রক্ষা প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও সুবর্ণচর উপজেলাধীন স্বর্ণদ্বীপ মেঘনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষাকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে উদ্যান জাতীয় ফসল সরবরাহ ও পুষ্টি নিরাপত্তা উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এক্সপানশন অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।