সা ত কা হ ন

মীর মাইনুল ইসলাম: তখন সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। ছুটির দিনগুলোয় সমবয়সীরা যখন এটা ওটা নিয়ে নানা আনন্দে ব্যস্ত, ছেলেটা বিভোর ছিল ইন্টারনেট জগতে। ২০১০ সালে এভাবেই বিশাল এ ভুবনের নিয়মিত বাসিন্দা হয়ে পড়েন। দেশ-বিদেশের নানা সাইট নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে  অ্যামাজন, ই-বেসহ আরও কিছু সাইটের কার্যক্রম দেখে মুগ্ধ হয়ে পড়েন।

পরিচিত হন ই-কমার্সের সঙ্গে। শুরুর দিনের গল্পটা এমনই ছিল আপনজোন ডটকমের (http://aponzone.com) উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহী আসিফ আহনাফের। বিষয়টা এ দেশের জন্যও যে সম্ভাবনাময় তা তিনি দ্রুত বুঝতে পারেন।

তখন ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে জানা শোনা বলতে কেবল ইন্টারনেটের তথ্যই একমাত্র ভরসা ছিল। পুঁজি নেই বললেই চলে। এরপরও কিছু একটা করার নেশা থেকেই কাজে নেমে পড়েন। ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় ইন্টারনেট ও কম্পিউটার সামগ্রী বিক্রয় শুরু করেন। তার পাশে দাঁড়ানো আরও দুই যুবক। চালিয়ে যেতে থাকেন বাজার বিশ্লেষণের কাজ।

এভাবে চলতে চলতে শেষ করেন উচ্চমাধ্যমিক। ২০১২ সাল ছিল তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার বছর। তৈরি করেন আপনজোন ডটকমের। সেই বছরের শেষের দিকে শুরু করেন আপনজোনের ই-কমার্স কার্যক্রম।

এ ডটকম পরিবারের প্রত্যয় ছিল শূন্য থেকে শুরু করে বড় হওয়ার। ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে ফ্রেঞ্জ এশিয়া থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন মেলায়। প্রায় ৬০টি প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঢাকা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সেরা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় আপনজোন ডটকম। এ প্রাপ্তি তার আকাক্সক্ষাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

আগামীতে দেশে ই-বাণিজ্যই হবে ব্যবসার সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র, এমনই মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যয়নরত আসিফ আহনাফ। ই-কমার্সের নানা সমস্যা সমাধান ও নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় সহায়তা করার জন্য রয়েছে ই-ক্যাব। বর্তমানে আসিফ এ প্রতিষ্ঠানের হেড অব কমিউনিকেশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

সাংবাদিক

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০