ফারুক আহমেদ চৌধুরী: অনন্যা ইয়াসমিন অঙ্কনের সংগীত প্রতিভায় মুগ্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী। সংগীতে তার শিক্ষাগুরু বাবা। তার হাত ধরেই তিনি গানের জগতে প্রবেশ করেন। বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে তার খ্যাতি।
বাবার প্রতিষ্ঠিত মহানন্দা সংগীত নিকেতনে শিক্ষাজীবন শুরু করেন অনন্যা। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। বিশেষ করে লোকসংগীতের প্রতি তার গভীর অনুরাগ আজও রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় চ্যানেল আই বাংলার গান ২০১৫ প্রতিযোগিতায় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হন। সেই শুরু। বাবা-মা ও চাঁপানবাবগঞ্জবাসীর অনুপ্রেরণায় শিল্পী হয়ে ওঠেন তিনি। অঙ্কনকে অনেকে এখন উত্তরবঙ্গের গর্ব মনে করেন। লালনকন্যা হিসেবে তিনি খ্যাতি পাচ্ছেন। জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে অসংখ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব পাঠানপাড়া গ্রামে তার জন্ম। নবাবগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্র ও সংগীত নিকেতনে থাকা গ্রুপ ছবি প্রমাণ করে, অঙ্কন মাত্র তিন বছর বয়সে শিশু একাডেমি ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সংগীত অনুষ্ঠানে সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন। ২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক সংঙ্গীতে প্রথম স্থান এবং একই বছর পদ্মকুড়ির জাতীয় শিশু-কিশোর-যুব প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০০৮ সালে একই প্রতিযোগিতায় আবার জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। ২০০৭ সালে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় লোকসংগীতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন ও
২০০৯-এর জাতীয় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় দেশাত্মবোধক ও লোকসংগীতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হন। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে স্বর্ণপদক পান তিনি। একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক।
ভারতের কলকাতায় জি বাংলা সা-রে-গা-মা-পা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছেন অঙ্কন। এছাড়া আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সহযোগিতায় ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন প্রোগ্রাম ২০১৪-২০১৫-তে অংশ নেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বেতারে লোকসংগীতের নিয়মিত শিল্পী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ