চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন আব্দুল আজিজ। এরপর একটি ইংরেজি দৈনিকে সাংবাদিকতা করেন। পরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গবেষণাকাজে যুক্ত হন। উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ থাকার কারণে বিভিন্ন দেশের বৃত্তি প্রোগ্রামে আবেদন করেন। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি টেকনোলজিতে গবেষণার সুযোগ পান। তবে ইরাসমাস মুনডুস বৃত্তি অর্জন করায় সেখানে যাওয়া হয়নি তার।
বর্তমানে ইরাসমাস মুনডুস বৃত্তির আওতায় ‘ডিজিটাল কমিউনিকেশন ও মিডিয়া পলিসি’ নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি অস্ট্রিয়ার সাল্জবুর্গ ইউনিভার্সিটি ও বেলজিয়ামে ভ্রিজি ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করছেন। এর আগে ডেনিশ সরকারের ‘নেদারল্যান্ডস ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি ব্রাসেলসভিত্তিক একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক বেসরকারি সামাজিক প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকরি করছেন আজিজ।
ছোটবেলা থেকেই ভীষণ উদ্যমী তিনি। গণমাধ্যম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সমাধানের স্বপ্ন দেখেন। ডিজিটাল ডিভাইড, ডিজিটাল ইনক্লুশন ও সোশ্যাল চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ওপর তার ভীষণ আগ্রহ রয়েছে। দেশের উন্নয়নে আজীবন কাজ করে যেতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন প্রজšে§র আগ্রহ সমীহ করার মতো, কিন্তু সুনির্দিষ্ট তথ্য ও পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনার অভাবে তারা বেশিদূর এগোতে পারেন না।’ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও সঠিক গাইডলাইনের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করেন আজিজ।
পাদটীকা: ইউরোপীয় কমিশনের অর্থায়নে পরিচালিত বৃত্তি কর্মসূচি ‘ইরাসমাস মুনডুস স্কলারশিপ’। এর আওতায় শিক্ষাবৃত্তির পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংস্কৃতির আদান-প্রদান করা যায়। প্রতি বছর এই শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।
পরবর্তী বছরের সেপ্টেম্বর সেমিস্টারের জন্য সাধারণত অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন করার সময়সীমা ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিষয়ভেদে ভিন্ন।
আজিজ মুনির
ভ্রিজি ইউনিভার্সিটি ব্রাসেলস (ভিইউবি), বেলজিয়াম
azizmonir7Ñgmail.com
Add Comment