ইমরান হোসেন ইমন কারও কাছে ইমরান, কারও কাছে ইমন বা ইমু নামে বেশি পরিচিত। স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমন। চার ভাইবোনের মধ্যে বড়। পড়াশোনা করছেন ঐতিহ্যবাহী সিলেট (মুরারিচাঁদ) এমসি কলেজে। বয়স ২২ পেরোয়নি।
নিজেকে যুক্ত করেছেন নানা সংগঠনের সঙ্গে। পথশিশু ও রক্তদান নিয়ে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইচ্ছাশক্তি’র সভাপতি হিসেবে। যুক্ত আছেন ‘এলিভেট ফোরাম’, এমসি কলেজের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠন’ ও এমসি কলেজ প্রেস ক্লাবের সঙ্গে। এ তো গেল সামাজিক আর সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে তার মিতালি।
ইমরান ইমনের গভীর সখ্য লেখালেখির সঙ্গে। লেখালেখির হাতেখড়ি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখার সময়। এর শুরু ডায়েরি লেখার মাধ্যমে, যা নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন তিনি। সিলেট থেকে প্রকাশিত সাহিত্যের ছোটকাগজ
‘পিঁপড়া’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা ‘দৈনিক সিলেটের ডাকে’ লেখা ছাপার মাধ্যমে সাহিত্য জগতে প্রবেশ। বর্তমানে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ছোটগল্প লিখছেন নিয়মিত। ছোটগল্প লিখতে ভালো লাগে ইমরানের। ছোটগল্প লেখার অনুপ্রেরণা পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বনফুল ও হুমায়ূন আহমেদের লেখা থেকে। অবিরাম লিখে যাওয়ার ইচ্ছা থেকেই আসছে বইমেলায় তার প্রথম ছোটগল্পের বই ‘এই তো তুমি এলে’।
লেখালেখিতে এত আগ্রহ কেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক স্বপ্নের চোখ আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। অন্ততপক্ষে ওই চোখগুলোর জন্য হলেও আমাকে কিছু করতেই হবে। আর এটা সম্ভব লেখালেখির মাধ্যমেই।
অবসরে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে তার। মিস করেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফেলে আসা দিনগুলো। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করেন। বই পড়তে ভালোবাসেন। আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান তিনি।
আজহার উদ্দিন শিমুল, সিলেট