জুয়েল দেব বর্তমানে কর্মরত সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে। এবারের বইমেলায় বেরিয়েছে তার উপন্যাস। নাম ‘চৌহদ্দি সুনির্দিষ্ট নয়’। তরুণ এই ঔপন্যাসিকের বইটির
প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত। বইটি বের করে ঐতিহ্য প্রকাশনী।
পার্বত্য রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা তার। স্থানীয় কাচালং উচ্চ বিদ্যালয় ও কাচালং কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
প্রথম উপন্যাস সম্পর্কে তরুণ এই বিচারক জানালেন, অসংখ্য গল্প বুকপকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো মানুষের গল্প এটি। কখনও সেই গল্পগুলো মাঝরাতে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। তখন মধ্যরাতের তীব্র হাহাকার বুকে আটকে রেখে মনে হয় জীবন আসলে সুন্দর।
দীর্ঘদিন জাতীয় দৈনিকের ফিচার পাতায় লিখেছি। অসংখ্য অণুগল্প, ছোটগল্প প্রকাশিত হলেও এটাই প্রথম আমার উপন্যাস। লেখকদের আবেগ থাকবে স্বাভাবিক। প্রথম উপন্যাস প্রকাশে আমি তাই স্বাভাবিকভাবেই আবেগাক্রান্ত।
জুয়েল দেব আশাবাদী নতুন কিছু পাঠক পাবেন। জানালেন, যে গল্পগুলো বয়ে বেড়াতে বেড়াতে আমি রাত ভোর হয়ে যাওয়া দেখি, বুক কুরে কুরে খাওয়া সেই অসংখ্য গল্পের মধ্যে একটি গল্প আমি বলতে চেয়েছি। আমার মনে হয়েছে, রাত যত গভীর হয় মানুষ তত একা হয়ে যায়। চারপাশে সবকিছু থাকলেও তখন নিজেকে ভীষণ নিঃস্ব মনে হয়। ঠিক মধ্যরাতে সত্য আর মিথ্যার মাঝে এক ধরনের বিভ্রম তৈরি হয়। পৃথিবীর নিয়তিতে জড়িয়ে যাওয়া সেই একাকী মানুষ তখন সত্য আর মিথ্যার বিভ্রমটা ভাঙার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা করে। যারা সেই বিভ্রম ভাঙতে পারে তাদের জীবনের চৌহদ্দি সুনির্দিষ্ট হয়। যারা সেই বিভ্রমতা ভাঙতে পারে না তাদেরকে জীবনভর পথে পথে ঘুরে বেরাতে হয়।
বেনজীর আবরার