মন থেকে চাইতে হয়
আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছা থাকে। সে স্বপ্নের পেছনে আমরা দৌড়াইও। অনেক কারণে অনেকে স্বপ্নটা পূরণ করতে পারেন না। কেননা, আত্মবিশ্বাসের অভাব ও মন থেকে চাইতে না পারার অভাব রয়েছে। এমনই বলেছেন ৩৭তম বিসিএস পুলিশে সুপারিশপ্রাপ্ত নীপা বিশ্বাস।
পড়েছেন বাবার স্কুলে
নীপা বিশ্বাসের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ভৈরব গ্রামে। বাবা ছিলেন ওই গ্রামের ডুমরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মকর্তা ছিলেন। বাবার বিদ্যালয়ে ভর্তি হন নীপা। ডুমরিয়া স্কুল থেকেই ২০০৬ সালে বাণিজ্য বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করেন। লালমিয়া সিটি কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হন।
কারও কথায় কান দেননি
অনেকে জীবনটাকে কঠিন করে দেখেন। ফলে বেশি দূর আগাতে পারে না। আমাদের আশেপাশে এমন অনেকে আছেন, যারা সব সময় অন্যদের নিরুৎসাহিত করেন। ফলে আত্মবিশ্বাসটা কমে যায়। তবে এর মধ্য দিয়েই যে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন, তিনিই সফল হন বলে মনে করেন নীপা। এমনটি তার বেলায়ও হয়েছিল; তবে কাউকে পরোয়া করেননি।
আশা ছাড়েননি
এইচএসসির পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করার জন্য ঢাকায় আসেন। ইচ্ছা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েও দুর্ভাগ্যবশত সুযোগ পাননি। তার অনেক সহপাঠী ঢাবি, জবি, জাবি, রাবি, চবিতে ভর্তি হন। দুঃখ আর বেদনা নিয়েই ইডেন কলেজে বিবিএস অ্যাকাউন্টিংয়ে ভর্তি হন। ভালো কিছু করবেনÑসে আশা নিয়েই পড়ালেখা চালিয়ে যান।
চেষ্টায় ত্রুটি রাখেননি
প্রথম বর্ষ থেকেই বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। স্নাতক পর্যায়ে পড়ার সময় সর্বক্ষণই মাথায় বিসিএস পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। প্রচুর পড়তেন। অনার্স ফাইনাল ইয়ার শেষ হওয়ার আগেই বিসিএস প্রিলির প্রস্তুতি শেষ করেন। ৩৫ ও ৩৬ বিসিএস প্রিলিতে পাস করেন। পরে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ৩৭তম বিসিএসে মুখোমুখি হন। নীপা বলেন, চেষ্টার শেষ যেখানে, সফলতার শুরু সেখানে। সফল না হওয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
স্বপ্ন ছিল পুলিশ হওয়ার
নীপা পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি বলেন, মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। আর সাধারণত বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে মেয়েরা আসতে চায় না। তারা চাইলে পুলিশে ভালো অবদান রাখতে পারে। আমিও এখানে ভালো কিছু করতে পারব। দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারব আশা করছি।
স্বপ্ন যদি থাকে বিসিএস…
নীপা বলেন, যারা বিসিএস দেবেন, তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও রুটিন মেনে চলতে হবে।
মো. আমজাদ হোসেন ফাহীম