আজহার উদ্দিন শিমুল: ভালোবেসে সবাই তাকে মণি বলে ডাকেন। এ বছর সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন মণি। সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী তিনি।
এমসি কলেজের সবচেয়ে পুরোনো মোহনা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সিনিয়র সদস্য মণিকা। বাবা সুনীল চন্দ্র দাশের হাত ধরে গানের জগতে প্রবেশ। সঙ্গে মা ঝরনা রানী দাশ ও বড় বোন জবা রানী দাশের অনুপ্রেরণা তাকে দেশসেরা শিল্পী করে তুলেছে। এ-বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে দেশাত্মবোধক গানে সারা দেশে প্রথম হয়েছেন মণিকা। এমসি কলেজে অনুষ্ঠিত এবারের সাংস্কৃতিক সপ্তাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
জাতীয় পর্যায়ের নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন মণিকা। অর্জন করেছেন অনেক পুরস্কার। ছোটবেলা থেকেই গানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নিজের প্রাপ্তির ঝুড়ি সমৃদ্ধ করেছেন। চার বোন, এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বেড়ে ওঠা এই শিল্পী ২০০৭ সালে পলাশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০৯ সালে দিগেন্দ বর্মণ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে চলে আসেন সিলেটে। এমসি কলেজে ভর্তি হওয়ার পর যুক্ত হন ‘মোহনা’র সঙ্গে। নতুন বন্ধুবান্ধব ও কলেজ শিক্ষকদের উৎসাহে অংশ নেন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের অনেক গানের প্রতিযোগিতায়। এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামীমা আখতার চৌধুরীর অনুপ্রেরণা আর স্নেহ পেয়েছেন সব সময়।
সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় মা-বাবা, ভাই-বোনের পাশাপাশি শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মণিকা। গানের ভুবনে সহায়তা করেন ওস্তাদ প্রতীক এন্দ। ওস্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই তার।
গান নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন? এ প্রশ্নে মণিকা বলেন, ‘আমি আরও শিখতে চাই। ভবিষ্যতে গানের একটা স্কুল খোলার ইচ্ছা আছে।’ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের গান শেখাতে চান তিনি। সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গানের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন। তাদের একজন মোহনার সদস্য হাসানুল বান্না শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘দিদির হাত ধরেই গানের জগতে এসেছি।’ আরেক সদস্য ডেইজি দাস জুঁই বলেন, ‘দিদি শুধু ভালো শিল্পীই নন, একজন ভালো মনের মানুষও।’
সিলেট
Add Comment