ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও ব্যবসায়ী। ঈশা খাঁ’র রাজধানীখ্যাত সোনারগাঁয় তার জন্ম। ইংল্যান্ডের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আইসিটির ওপর স্নাতক শেষ করে পরে উচ্চশিক্ষার ওপর আরও একটি ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রবাস জীবন তার কাছে শুধুই অন্য দেশ মনে হয়েছে। তাই প্রবাসে বসে তিনি দেশের জন্য কী করা যায় তা নিয়ে ভাবতেন।
পড়ালেখা সম্পন্ন করে দেশে ফিরে গত ২০ বছর ধরে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। তার ইচ্ছা, সোনারগাঁয়ের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা। নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার উন্নয়ন করলেও এক সময় তিনি উপলব্ধি করতে পারেন যে, এলাকার সার্বিক উন্নতির জন্য জনগণের প্রতিনিধিত্ব করাই উত্তম। এ বিষয় তিনি বলেন, এলাকার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসার সংস্কার করেছি নিজের অর্থ খরচ করে। একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। তবুও ইচ্ছা আছে এলাকার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার। কিছু দাফতরিক কাজ রয়েছে, যা জনপ্রতিনিধি ছাড়া করা সম্ভব নয়। এ উন্নয়নের স্বার্থে আমি জনপ্রতিনিধি হতে চাই।
সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সোনারগাঁ মোগল আমল থেকে বিখ্যাত। আমি এ স্থানটিকে আগের মর্যাদায় ফিরিয়ে নিতে চাই। এখানে দর্শনীয় অনেক কিছুই রয়েছে। শুধু যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় দর্শনার্থীরা এখানে কম আসেন। রাস্তার পরিপূর্ণ সংস্কার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে এখানে অনেক বেশি দর্শনার্থী আসবেন। আশা করি দেশের পাশাপাশি বিদেশিরাও ভিড় জমাবেন এখানে।
জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে আপনি কোন বিষয়গুলোয় ওপর গুরুত্ব দেবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম বলেন, সমর্থন পেলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবো। নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন, বিশেষ করে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করব। সোনারগাঁয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এখানের শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। যাতায়াতব্যবস্থার কারণে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ক্লাস শেষ করে বাড়িতে ফিরে অন্য কিছু করার ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকে না। ফলে পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হয় না। তাদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা রয়েছে।
ব্যবসায়ী হয়েও উচ্চশিক্ষার জন্য কাজ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, লন্ডনে আমার একটি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। এছাড়া আমার লেখাপড়া আইসিটি নিয়েই। বিশ্বব্যাপী আইসিটির বেশ চাহিদা রয়েছে। বাস্তবমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষা এবং আইসিটি-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমি কাজ করতে পারব। লন্ডনে আমি দেখেছি কীভাবে একজন অদক্ষ জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা হয়। আমিও সে চেষ্টা চালিয়ে যাব।