সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: ২০১৫ সালে হিমায়িত সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে সিআইপি খেতাবপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী হাবিব উল্লাহ খান। কয়েক বছরের ব্যবধানে এখন ওয়ান ব্যাংকের খেলাপি তালিকায় তার তিন প্রতিষ্ঠান মিনহার সি ফুডস লিমিটেড, মিনহার ফিশারিজ লিমিটেড ও এবং মিনহার মেরিন ফুডস লিমিটেড। এ তিন প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৪২ কোটি টাকা। এ বিপুল খেলাপি ঋণ আদায়ে ওয়ান ব্যাংক বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
ওয়ান ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, হাবিব উল্লাহ খান ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে মাছ ধরার ব্যবসার জন্য ঋণ সুবিধা নেন। প্রথম দিকে ঋণের কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধে একাধিকবার ব্যর্থ হন। তার মালিকানাধীন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে নেয়া ঋণ গত ৩১ জানুয়ারি ১৪২ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে পড়ে। এর মধ্যে রয়েছে মিনহার সি ফুডসের নামে ৭৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, মিনহার ফিশারিজে ৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং মিনহার মেরিন ফুডসের নামে ২১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর বিপরীতে বন্ধকিতে এফবি ইমাম-৩, এফবি জারান ও মিনহার-২ নামে তিনটি ফিশিং ট্রলার, চট্টগ্রামের কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলে ৯২ শতাংশ স্থাপনাসহ জমি, কক্সবাজারের উখিয়ায় ১৭৭ শতাংশ, চকরিয়ায় পাঁচ একর এবং কক্সবাজার বিসিক শিল্পাঞ্চলে ১৫০ শতাংশ জমি রয়েছে, যা আগামী ১৪ মার্চ আগ্রাবাদ শাখায় নিলামে বিক্রি করা হবে। এতে আগ্রহী ক্রেতারা উপস্থিত হয়ে এসব সম্পত্তি নিলামে কিনতে পারবেন। যদিও এর আগে ঋণ পাওনা পরিশোধে একাধিক চেক প্রত্যাখ্যানের বিপরীতে একাধিক মামলাও করেছিল সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
জানা যায়, হাবিব উল্লাহ খানের মালিকানাধীন মিনহার সী ফুডস, মিনহার ফিশারিজ, মিনহার মেরিন ফুডস ও মিনহার সিকিউরিটিজের সমন্বয়ে মিনহার গ্রুপ গড়ে ওঠে। তিনি নন-লাইফ প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির একজন উদ্যোক্তা পরিচালক। পাশাপাশি তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
খেলাপি ঋণ পরিশোধের বিষয়ে মিনহার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উল্লাহ খান শেয়ার বিজকে বলেন, ওয়ান ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ঠিক আছে। তবে আমি এখন বাইরে আছি। বিষয়টি আমার আর ব্যাংকের মধ্যে। আর এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না, বলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।