নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেছেন, সম্প্রতি ঋণখেলাপিদের তথ্য হালনাগাদ (সিআইবি রিপোর্টিং) করার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তার সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড অংশ এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে থেকে সিআইবির তথ্য পরিবর্তন করার যে খবর প্রচার হচ্ছে, তা সঠিক নয়। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিটি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায় বলেন, সিআইবি-সংক্রান্ত রিপোর্ট সংগ্রহের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা কোনো বিড়ম্বনা তৈরি করবে না। বরং তথ্য হালনাগাদ প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, আগে ব্যাংকে তিন থেকে চারটি ইউজার আইডি দেয়া হতো। এখন সেটি বাড়ানো হয়েছে। এর বাইরে নতুন কিছুই করা হয়নি।
ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে থেকে তথ্য হালনাগাদ করার বিষয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা নিরসনেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে মেজবাউল হক বলেন, শাখা থেকে তথ্য হালনাগাদ করলেই সিআইবি তথ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে না, এর জন্য আলাদা অনুমোদনকারী কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। তাই কেউ চাইলেই সিআইবির তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন, এই ধারণা সঠিক নয়।
মেজবাউল হক আরও বলেন, আগে সিআইবি রিপোর্ট পরিবর্তন করতে বা কোনো সংশোধনী থাকলে তা সম্পন্ন করতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লেগে যেত। কোনো গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভুল হলেও সেটা সংশোধন করতে হতো কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই। তবে নতুন সিদ্ধান্তের কারণে শাখা পর্যায়ে থেকেই কর্মকর্তারা নিজেদের তথ্য হালনাগাদ করে পাঠাতে পারবেন। কেউ যদি ভুল তথ্য দিয়ে সিআইবি রিপোর্ট ভালো করার চেষ্টা করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভুল তথ্য দিলে সফটওয়্যার সাপোর্ট করবে না তথ্য ।
খুব দ্রুতই আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের দিকে এগোচ্ছি। তাই আমাদের সব সিস্টেম ডিজিটাল হওয়া খুবই প্রয়োজন। ভবিষ্যতে কোনো গ্রাহকের সার্বিক তথ্য যাচাই করতে গেলে অনলাইনে তার পর্যাপ্ত তথ্য থাকা প্রয়োজন। তাই সিএবি সিস্টেমকে আরও সক্রিয় করার জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।