প্রতিনিধি, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) : শেয়ার বিজে সংবাদ প্রকাশের পর রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমেটেড (সিইউএফএল) এর এস্টেট অফিসার (এডমিন) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সিইউএফএল থেকে বদলি করা হয়েছে। গত ১৬ নভেম্বর বিসিআইসির চিফ অফ পার্সোনেলের পক্ষে ডেপুটি চিফ অফ পার্সোনেল নাজমুন নাহার স্বাক্ষরিত এক দপ্তরাদেশ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। দপ্তরাদেশ সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমানে তার কর্মস্থল সিইউএফএল রাঙ্গাদিয়া, চট্টগ্রাম থেকে তাকে বদলি করা হয় কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড ( কেপিএমল) চন্দ্রঘোনা, রাঙ্গামাটিতে। তবে দপ্তরাদেশ কি কারণে তাকে বদলি করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সিইউএফএল একটি সূত্র বলছে, বাসা বরাদ্দের সময় সিবিএ নেতাদের নিয়ে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তার বিরুদ্দে শাস্তিমূলকে এই ব্যবস্থা নেয় বিসিআইসি।
রাষ্ট্রীয়ত্ত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) বিসিআইসির একটি প্রতিষ্ঠান। তবে এই প্রতিষ্ঠান যেন একটি দুর্নীতির আতুড়ঘর। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সিইউএফএলের কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারীদের বাসার মালিক যেন এ প্রতিষ্ঠানের এস্টেট অফিসার (এডমিন) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। কারণ, তিনি যাকে ইচ্ছে বাসা বরাদ্দ দেন, যাকে ইচ্ছে দেন না। পরে তার বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যের মাধ্যমে বাসা বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
বাসা বরাদ্দের ঘুস বাণিজ্য নিয়ো গত ৩১ আগস্ট দৈনিক শেয়ার বিজে সিইউএফএল-এ বাসা বরাদ্দে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ শিরোনামে এক অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে ওঠে আসে সিইইউএফএলের বাসা বরাদ্দে ঘুস বাণিজ্যের নেপথ্যে কতিপয় সিবিএ নেতা ও এস্টেট অফিসার (এডমিন) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দুর্নীতির কাহিনী।
দেখা যায়, সিইউএফএলের এই এস্টেট অফিসারের বাসা বরাদ্দের সময় মোটা অংকের হয় পকেট বাণিজ্য। অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত এক বছরে তিনি বাসা বরাদ্দের নামে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন অভিযোগ ছিল ভুক্তভোগী শ্রমিক-কর্মচারীদের। তার ইচ্ছের কারণেই বাসা নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। শ্রমিক-কর্মচারীদের অভিযোগ, বাসা বরাদ্দ কমিটির নামে সিইউএফএলে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেছেন এস্টেট অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তিনি এই কমিটির মাধ্যমে তার অনিয়মগুলো জায়েজ করেন। বিনিময়ে মোটা অংকের ভাগ পৌছে যায় কমিটির সদস্যদের হাতেও।
বদলির বিষয়ে এস্টেট অফিসার (এডমিন) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, দপ্তরাদেশ হয়েছে তবে এখনো রিলিজ কপি আমি পাইনি। আমি এখনো কারখানায় কর্মরত আছি।