নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা রাজনৈতিক দলগুলোর কথায় কোনো গুরুত্ব দেন না বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মান্না বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক অদ্ভুত জীব! তাকে আপনি যা-ই বলেন, উনি শুনবেন, শোনার পর তার নিজের কথাই বলবেন। উনি যে কিছু শুনেছেন এটা মনে হবে না। যেখানে নির্বাচন কমিশনার নিজেই চোর, নিজেই ডাকাত; তার আবার ইভিএম নিয়ে এত কথাবার্র্তা এটা শুনে আমাদের লাভ নেই।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই খেলা শেষ নয়। ভোটে দুই নম্বরি হলে ৩০ জানুয়ারি থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।’
ইভিএমে ভোট নেওয়ার বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘দেশে ব্যবহƒত ইভিএমের ডিজাইন ঠিকমতো অনুসরণ করা হয়নি। শ্রদ্ধেয় জামিলুর রেজা চৌধুরী সেটাতে স্বাক্ষর পর্যন্ত করেননি। কোনো কারণে যদি কারও আঙুলের ছাপ না মিলে, তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার সেখানে ২৫ শতাংশ ভোট নিজে দিতে পারবেন। এরচেয়ে ফোরটোয়েন্টি আর কি হতে পারে?’
জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসে ইভিএমে ভোট নেওয়া বাতিলের উদাহরণ তুলে ধরে মান্না বলেন, ‘ভারতেও নির্বাচন কমিশন বিভিন্নজনের মতামত নিয়ে ইভিএমের পরিবর্ধন-সংশোধন করেছে। সেখানেও ইভিএম নিয়ে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এটা চালু করেছি যাতে দিনের ভোট রাতে না হয়। তার মানে, আগে যে রাতে ভোট হয়েছিলÑসেটা তিনি স্বীকার করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘একটি মেশিন আমরা যেভাবে কাজে লাগাতে চাই, সেভাবেই কাজে লাগানো যায়। আমরা যদি মনে করি, ইভিএমের মধ্যে আমরা সেরকম কমান্ড দেব, আপনি যেখানেই চাপ দেন নৌকা মার্কায় সিলটা যাবে। ভেতরের ঘটনা তো দেখতে পাচ্ছেন না। সুতরাং, এটা বাতিল করতে হবে।’
গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত সিটি নির্বাচনে ইভিএম বাতিলের দাবিতে ওই মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও আয়োজক সংগঠনের মোহাম্মদ ইব্রাহিম।