সিউলের নো ফ্লাই জোনে পিয়ংইয়ংয়ের ড্রোন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়ূন সুক ইওলের কার্যালয়ের চারপাশের ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের উড্ডয়ন নিষিদ্ধ ‘নো ফ্লাই’ অংশে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির এক সামরিক কর্মকর্তা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম কোরিয়া হেরাল্ড এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, গত মাসে অল্প সময়ের জন্য ড্রোনটি নো ফ্লাই জোনে ঢুকে পড়েছিল। এর আগে প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিল, সাম্প্রতিক সময়ে উড্ডয়ন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার নজির নেই।

গত ২৬ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়া এই ড্রোনসহ মোট ৫টি ড্রোন পাঠায়, যেগুলো ২ দেশের মাঝে থাকা সামরিক বিভাজন রেখা পেরিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়, ফলে দেশটির আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম ইয়োনহাপকে নাম না প্রকাশের শর্তে সামরিক কর্মকর্তা বলেন, এটি (ড্রোন) অল্প সময়ের জন্য নো ফ্লাই জোনের উত্তর প্রান্তে প্রবেশ করে। তবে এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা স্থাপনার কাছে পৌঁছাতে পারেনি। তিনি এই সুরক্ষিত অঞ্চলকে ‘পি-৭৩’ নামে অভিহিত করেন।

গত বুধবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং-সাপ ড্রোনবিরোধী উদ্যোগের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়ুনের সঙ্গে আলোচনার সময় নো ফ্লাই জোনে উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের আংশিক অনুপ্রবেশ সম্পর্কে জানান। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে রাডার ফাঁকি দিতে পারে এমন ড্রোন চিহ্নিত করা এবং ধ্বংস করার উপযোগী নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু। গণমাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের নো ফ্লাই জোনে ঢুকে পড়ার বিষয়টি প্রকাশ হলেও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ তা নাকচ করে। এ সংস্থার মুখপাত্র কর্নেল লি সুং-জুন এসব প্রতিবেদনকে ‘দুর্ভাগ্যজনক, অসত্য ও ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেন।

উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত ড্রোন অভিযানে দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন চিহ্নিত, ড্রোনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও ধ্বংস করার ক্ষেত্রে অক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে এলোমেলো গতিপথে উড়েছে। ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুর কাছে আসার আগে একাধিকবার গতিবেগ ও উচ্চতা পরিবর্তন করেছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০