সিএনজি ও এলপিজি স্টেশনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে ইন্ট্রাকো

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের টাইগার পাস মোড়ে একটি এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি সিএনজি স্টেশনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৯৪তম সভায় পাঁচটি এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা কিনা কোম্পানিটির ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেন। অন্যদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৯৯তম সভায় পাঁচটি মাদার-ডটার সিএনজি স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, যা কিনা গত ২৩ আগস্ট কোম্পানিটির প্রথম বিশেষ সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেন।

পাঁচটি এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন এবং পাঁচটি মাদার-ডটার সিএনজি স্টেশনের মধ্যে চট্টগ্রামের টাইগার পাস মোড়ে একটি এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি মাদার-ডটার সিএনজি স্টেশন বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত হয়েছে এবং এ দুটি স্টেশনের কার্যক্রম আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে শুরু হবে। নতুন এলাকায় এ ধরনের ব্যবসা সম্প্রসারণের ফলে কোম্পানির রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকদের আরও ভালো মানের পরিষেবা নিশ্চিত করবে বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ১৮ পয়সা বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫১ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৩৩ পয়সা। এছাড়া ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা। আর এই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৬ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল ৩৯ পয়সা।

এদিকে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ২১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৩৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বেনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১৭ পয়সা।

২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৯ দশমিক ০৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০