নিজস্ব প্রতিবেদক: সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর কমার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে ফান্ডটির প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি ৯৪ লাখ তিন হাজার টাকার ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ১৫ হাজার টাকার ইউনিট।
দর কমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে আট দশমিক ৬৮ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি ৫১ লাখ ৭৩ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৮৮ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৯ টাকা ৯৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন করেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাড়ে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ১২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় যথাক্রমে ৪ টাকা ৩২ পয়সা ও ৮৮ টাকা ৫৯ পয়সা ছিল।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন এক লাখ ৩০ হাজার ৫৫৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ১০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৯২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯৯ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১০০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২২৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯৩ লাখ ৭০ হাজার ৬০৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য তিন শতাংশ এবং বাকি সাত দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৬২ দশমিক ৩৭। আর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পিই রেশিও ৪১ দশমিক ২৩।
তৃতীয় স্থানে অবস্থানে ছিল সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে আট দশমিক ৪৯ শতাংশ। ফান্ডটির প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ছয় লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার ইউনিট।
