নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীতে এখন প্রায় ১৩ হাজার নিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। এসব থ্রি-হুইলারের তথ্য নিজস্ব সার্ভারে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। গতকাল সোমবার ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ নামে এ সেবার উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
সিএমপি কমিশনার বলেন, এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে যাত্রীরা মোবাইল ফোন থেকে জেনে নিতে পারবেন মালিক ও চালকের সব তথ্য, যা থ্রি-হুইলারে চলাচলকে নিরাপদ করবে। নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে যাত্রীবান্ধব নিরাপদ বাহন করতেই এ সেবা চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অটোরিকশা ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধ রোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কোনো যাত্রী গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফেলে গেলে এ সেবার মাধ্যমে সহজেই তাকে বহনকারী অটোরিকশাটি খুঁজে পাবেন। পাশাপাশি মালিকরা তাদের অটোরিকশা ভাড়া দেয়ার আগে চালক নিবন্ধিত কি না, তা চালকের ভেরিফিকেশন কার্ড দেখে নিশ্চিত হতে পারবেন। এটি অটোরিকশা চুরি রোধেও ভূমিকা রাখবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মালিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র, অটোরিকশা নিবন্ধন, ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন ও রুট-পারমিটের কাগজ দিয়ে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করবেন। আর চালকরা জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স, অটোরিকশার তথ্যসহ ফর্ম পূরণ করে নিবন্ধন করে রাখবেন। এসব তথ্য সিএমপির সার্ভারে জমা থাকবে।
নগরীর টাইগার পাস, নিউমার্কেট, বহদ্দারহাট, জিইসি মোড়, বাদামতলী, অলঙ্কার, মইজ্জ্যার টেক ও সিমেন্ট ক্রসিং ট্রাফিক বক্সে গিয়ে নিবন্ধন করাতে পারবেন চালক ও মালিকরা। নিবন্ধনের পর চালক ও মালিকদের কিউআর কোড ও নিউমারিক আইডি কার্ড দেয়া হবে, যেটির একটি কপি অটোরিকশায় যাত্রীদের দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এতে যাত্রীরা ঝোলানো কপি দেখলেই বুঝতে পারবেন অটোরিকশাটি সিএমপিতে নিবন্ধন করা।
সিএমপি কর্মকর্তারা জানান, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সিএমপির ‘হ্যালো সিএমপি’ অ্যাপের মাধ্যমে ভেরিফাইড করা গাড়িতে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে গাড়ির চালক ও মালিকের ছবি দেখতে পারবেন এবং অন্য সব তথ্য জেনে নিতে পারবেন।
আর যাদের স্মার্টফোন থাকবে না, তারা গাড়িতে টাঙানো কার্ডটির নিউমারিক কোড সিএমপির নির্ধারিত নম্বরে পাঠালে ফিরতি বার্তায় গাড়ির মালিক ও চালক ভেরিফাইড কি না, সেটা জানিয়ে দেয়া হবে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, নগরীতে চলাচলকারী অটোরিকশার অনেকগুলো একাধিক চালক চালিয়ে থাকেন। আমাদের ইচ্ছা ডিসেম্বরের মধ্যেই সব অটোরিকশা ও চালকের তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন করা। এর মধ্যে না হলে তা ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে নগরবাসীর সহযোগিতা চান তিনি।