ক্রীড়া ডেস্ক : জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। যে কারণে কোথাও সাকিব আল হাসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কয়েক দিন আগেই এ বাঁহাতিকে সুসংবাদ দিয়েছিল উইজডেন অ্যালমানাক। তাদের দশকসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা পেয়েছিলেন টাইগার এ তারকা। এবার তাকে সে একই জায়গায় বসিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও (সিএ)।
২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এ একাদশটি বাছাই করেছে সিএ। গতকাল সংস্থাটি প্রকাশিত সেরা একাদশে একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে জায়গা পেলেন সাকিব।
সিএ দশকসেরা ওয়ানডে দলে ব্যাটিং লাইনআপের পাঁচ নম্বরে রয়েছেন সাকিব। তাকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাখ্যায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এ দশকে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। তিনি সর্বোচ্চ মানের একজন নিখাদ অলরাউন্ডার। সেরা একাদশের অন্যান্য ব্যাটসম্যানের মতো খুব আগ্রাসী না হলেও তিনি একজন ধারাবাহিক পারফরমার। বাঁহাতি স্পিনেও তিনি দুর্দান্ত। তাকে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন।
গেল ১০ বছরে সাকিব খেলেছেন ১৩১ ওয়ানডে। ৩৮.৮৭ গড়ে করেছেন ৪ হাজার ২৭৬। স্ট্রাইক রেট ৮৬.০৭। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ১২৪ রানের। সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি, হাফ সেঞ্চুরি ৩৫টি। ৩০.১৫ গড়ে সাকিব উইকেট পেয়েছেন ১৭৭টি। ইকোনমি মাত্র ৪.৭২। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুবার। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ২৯ রানে ৫ উইকেট নেওয়া।
একাদশে সর্বোচ্চ তিনজন আছেন ভারতের। তারা হলেন: রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলের উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে ধোনিকে। এদিকে সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েছেন দুজন। তারা হলেন হাশিম আমলা ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। একাদশের বাকিরা হলেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার, শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা, নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, আফগানিস্তানের রশিদ খান ও অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক।
একাদশের প্রতিটি পজিশনের জন্য একজন করে ক্রিকেটারের নাম সম্মানসূচকভাবে উল্লেখ (অনারেবল মেনশন) করা হয়েছে। গেল দশকে ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে ৪০-এর বেশি গড় থাকলেও ধোনির সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি বাংলাদেশের আরেক তারকা মুশফিকুর রহিম।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দশকসেরা ওয়ানডে দল: রোহিত শর্মা, হাশিম আমলা, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, সাকিব আল হাসান, জস বাটলার, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রশিদ খান, মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট, লাসিথ মালিঙ্গা।