নিজস্ব প্রতিবেদক: শূন্য টাকায় কোম্পানির শেয়ার বিক্রির জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি বহুল আলোচিত কোম্পানি। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে এ বিষয়ে ৯টি ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের ১৫ ট্রেডারকে সাসপেন্ড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম। গতকাল এমন ৯ ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা করে থাকেন। আর এই কেনাবেচার বিষয়টি বাস্তবায়ন করেন ট্রেডাররা। তারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদিত ও প্রশিক্ষিত। এজন্য তাদের অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ বলা হয়।
তারা ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা করে থাকেন। এজন্য তাদের সিকিউরিটিজ আইন মেনে চলতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ৯টি ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের ১৫ ট্রেডার নিয়ম না মেনে শেয়ার বিক্রির আদেশ দিয়েছেন। শূন্য দরে এসব শেয়ার বিক্রির আদেশ দেয়া হয়।
অন্যদিকে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, শূন্য দরে শেয়ার বিক্রির আদেশই বাস্তবায়িত হওয়ার কথা নয়। যদি হয়ে থাকে তাহলে এটি সফটওয়্যারের ত্রুটি। এজন্য লেনদেন সফটওয়্যারের ত্রুটি সারানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
শূন্য টাকায় শেয়ার বিক্রির আদেশ দেয়া কোম্পানির তালিকায় রয়েছেÑবেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, আইসিবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বিকন ফার্মা ও অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেÑপার্কওয়ে সিকিউরিটিজ, আইসিবি সিকিউরিটিজ, কাইয়ুম সিকিউরিটিজ, রশিদ ইনভেস্টমেন্টে, শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, টিকে খান সিকিউরিটিজ, জেকেসি সিকিউরিটিজ ও কাজী ইকুইটি।
শূন্য টাকায় শেয়ার বিক্রির আদেশ দেয়ার বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি করেছেন ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। তারা বলছেন, সিকিউরিটিজ কেনাবেচায় সার্কিট ব্রেকার দেয়া রয়েছে, ট্রেডার ভুলে শূন্য টাকায় বিক্রির আদেশ দিলে তা সফটওয়্যার নিল কীভাবে। এ ক্ষেত্রে নিশ্চয় সফটওয়্যারেও সমস্যা রয়েছে। এ বিষয়টিও দেখা উচিত।