সিগারেট আমদানির লাইসেন্স প্রদান বন্ধের দাবি ২০ সংগঠনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক কোম্পানিকে সিগারেট আমদানির লাইসেন্স (আইআরসি) প্রদান বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলায়েন্স ফর এফসিটিসি ইমপ্লিমেন্টেশন বাংলাদেশ (এএফআইবি) এবং বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটভুক্ত ২০টি সংগঠন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সিগারেট আমদানির জন্য বাণিজ্যিক আইআরসি প্রাপ্তির আবেদন করেছে। জাপান টোব্যাকোর এ আবেদন সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ পলিসি পরিপন্থি। বাণিজ্যিক আইআরসি পেলে তারা বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট এ দেশে বিক্রি করবে। এতে ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়বে। আমদানি লাইসেন্স দেওয়া হলে তামাক কোম্পানিগুলো যে সুকৌশলে বৈধ পথে সামান্য কিছু সিগারেট আমদানি করে অবৈধ পথে চোরাচালানের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বিদেশি সিগারেটের বিস্তার ঘটাবে, যা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ও তামাক নিয়ন্ত্রণে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। অর্থাৎ সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ পলিসির বাস্তবায়নে বড় বাধার সৃষ্টি করবে। যদি তাদের বাণিজ্যিক আইআরসি দেওয়া হয় তাহলে দেশের অন্য তামাক কোম্পানিগুলোকেও একই ধরনের আইআরসি দিতে হবে। ফলে দেশে আমদানিকৃত সিগারেট বিক্রির প্রতিযোগিতায় জনস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে।

স্বচ্ছ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুমন শেখের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন এএফআইবি সদস্য সংগঠন স্বজীব সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক আইনুল হক। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের বোর্ড অব ট্রাস্টি এম. রফিকুল ইসলাম মিলন, এলআরবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা রাজিয়া শিলা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, হোম স্টেড রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী সদস্য অসিত রঞ্জন মজুমদার, হোম স্টেড রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের মহাসচিব ফারুক আহমেদ, জনঅধিকার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য খাদিজা জাহান, মাধবিকার চেয়ারম্যান এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যেখানে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার প্রতিনিয়ত তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর, সেখানে তামাক কোম্পানিগুলো বিপণন বাড়াতে একের পর এক পদ্ধতি অবলম্বন করছে। তামাক কোম্পানির এ সব কূটকৌশল কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

বিআরডিএসের নির্বাহী পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম পিন্টু বলেন, দেশে ২০১৮ সালে তামাকজনিত রোগে প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার জনের অকাল মৃত্যু হয়েছে, যা এ সময়ে সব মৃত্যুর ১৩ দশমিক পাঁচ শতাংশ।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০