নিজস্ব প্রতিবেদক: সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে দুই ঋণমান নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিঙ্গার বাংলাদেশ: কোম্পানির ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমারজিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৯ টাকা ৭৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২৮ টাকা ১৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৭৫ কোটি আট লাখ ৩০ হাজার টাকা।
গতকাল শেয়ারদর দশমিক ১৯ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১৫ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩টি শেয়ার মোট ৬৬৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২১২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২১৯ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৬৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৩৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানির মোট সাত কোটি ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯১টি শেয়ারের মধ্যে ৫৭ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিদেশি সাত দশমিক ৭৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ২২ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বিএসআরএম স্টিলস: ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ+’ এবং স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি-২’। ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ২৭ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৪৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩ ডিসেম্বর সকাল সড়ে ৯টায় স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টার, ১৩ লাভ লেন, চট্টগ্রামে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ অক্টোবর।
গতকাল শেয়ারদর দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৭০ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন ২৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৩৩ হাজার ৯২৫টি শেয়ার মোট ১১৩ বার হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৮৪ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৬৬ পয়সা এবং এনএভি ৩৩ টাকা ৭২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৯৬ কোটি দুই লাখ ২০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৪১ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৩৪ কোটি ১৭ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ, বিদেশি দশমিক ২৮ শতাংশ ও বাকি ১১ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
