Print Date & Time : 29 June 2025 Sunday 10:06 am

সিঙ্গার বাংলাদেশের ঋণমান ‘এএএ’ ও ‘এসটি-১’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ মূল্যায়ন করা হয়েছে কোম্পানিটিকে।

এদিকে, সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৬৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৫২ হাজার ২৪২টি শেয়ার ৩২৭ বার হাতবদল হয়। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৯০ টাকায় ওঠানামা করে।

এদিকে সম্প্রতি ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৫৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৪১ পয়সা ও ৩২ টাকা দুই পয়সা। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৫০ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে ছিল ছয় টাকা।

‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ দুই হাজার ৮৩৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ছয় দশমিক ২৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৩৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা দুই পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ৫৯ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৯৬ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ১৩ পয়সা।