Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 8:16 am

সিটিসেল কর্মচারীদের মামলা: মোরশেদ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে সমন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় দেড় কোটি টাকার বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানসহ সিটিসেলের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের পাঁচ কর্মীর করা পাঁচটি পৃথক মামলায় গতকাল প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান তাবাস্সুম ইসলাম এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম বলেন, আদেশে মামলার বিবাদীদের আগামী ৪ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিটিসেলের মূল কোম্পানি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (পিবিটিএল) চেয়ারম্যান মোরশেদ খানের সঙ্গে তার স্ত্রী নাছরিন খান ও কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরীকেও মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।

অন্য বিবাদীরা হলেনÑপিবিটিএলের পরিচালক আসগর করিম, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) তারিকুল হাসান ও প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের সদস্য মাহফুজুর রহমান, নিশাত আলী ও এবি সরকার।

আইনজীবী তানজিম বলেন, বিবাদীরা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে বেতন বন্ধ করে দেন। সিটিসেলের পাঁচ কর্মীর আলাদা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

বাদীরা হলেনÑটিপু সুলতান, কাজী রুহুল কুদ্দুস, হাসান মাহমুদ, সাদেক মিলন ও একেএম এহসানুল আজাদ।

সিটিসেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফুল করিম জানান, ‘প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব ভাতাসহ বকেয়া পরিশোধের দাবিতে মাসখানেক আগে ১৫ জন কর্মীর পক্ষ থেকে উকিল নোটিস পাঠানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘সিটিসেলে সর্বশেষ কর্মী ছিলেন ৬৩০ জনের মতো। তাদের মধ্যে ২৫০ জন কিছু বকেয়া পেয়েছেন, বাকিরা কিছুই পাননি। তারাই প্রথমে লিগ্যাল নোটিস পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় মামলা হলো।’

মোরশেদ খান, তার স্ত্রী ও মেহবুব চৌধুরীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনও একটি মামলা করেছে। দেনার দায়ে বন্ধ হওয়ার মুখে সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় তরঙ্গ ফিরে পেয়েছে টেলিকম অপারেটর।

টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির পাওনা পৌনে ৫০০ কোটি টাকা না দেওয়ায় গত বছর ২১ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ প্রেক্ষাপটে বিটিআরসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুললে আপিল বিভাগ তরঙ্গ ফেরতের আদেশ দেন। আংশিক দেনা পরিশোধের পর আদালতের নির্দেশে ১৭ দিন পর সিটিসেলের সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হলেও এ বছর ১১ জুন আবারও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।