নিজস্ব প্রতিবেদক: সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ সংযোজন না করে ‘ফর্টিফায়েড’ ভোজ্যতেল বাজারজাত করায় বিএসটিআইয়ের মামলায় সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার সিটি গ্রুপের এমডি ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ফজলুর রহমান বা তার কোনো আইনজীবী এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। ‘তীর’ ও ‘ন্যাচারাল’ ব্র্যান্ডের ফর্টিফায়েড ভোজ্যতেলে নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় কম পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে সরকারের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন। চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গার ভিওটিটি অয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কারখানা থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করেছিল বিএসটিআইয়ের নজরদারি দল।
মেসার্স ভিওটিটি ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান। তিনি শিল্প গোষ্ঠী সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি। সিটি গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভিওটিটি অয়েল রিফাইনারি।
বিএসটিআইয়ের আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘সেখান থেকে কিছু তেল জব্দ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তা নির্ধারিত মান উত্তীর্ণ না হওয়ায় মামলাটি করা হয়। আদালত অভিযোগ গঠন করে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত মান অনুসারে প্রতি কেজি ফার্টিফায়েড তেলে ১৫ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘এ’ থাকতে হয়। কিন্তু ওই কারখানা থেকে সংগ্রহ করা তীর ব্র্যান্ডের তেলে তা ছিল মাত্র ৩ দশমিক ১৬ মিলিগ্রাম ও ন্যাচারাল ব্র্যান্ডের তেলে তা ছিল ৬ দশমিক ৪৭ মিলিগ্রাম।
আইনজীবী আশরাফ উদ্দীন খন্দকার বলেন, ‘‘ভোজ্যতেলে অবশ্যই ভিটামিন ‘এ’ নির্ধারিত মানে থাকতে হবে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ নেই এমন সয়াবিন তেল খেলে নানা স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হতে পারে।”
বিএসটিআইয়ের ওই অভিযানে ফর্টিফায়েড সয়াবিন তেল ও ফর্টিফায়েড পাম অয়েলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে পরীক্ষায় ভিটামিন ‘এ’ পর্যাপ্ত পরিমাণে না পাওয়ায় মামলাটি করেন বিএসটিআইয়ের সে সময়ের পরিদর্শক রাজীব দাশগুপ্ত।
বিএসটিআই আইনের যেসব ধারায় এ মামলা হয়েছে, তাতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।