সিদ্ধান্তগত ও সিস্টেমজনিত ত্রুটিতে নিয়োগ বঞ্চিত এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কী?

আমির আসহাব: যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) যোগ্যতার সনদ প্রদান করা সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা ছিল ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে, ২০১৫ সালে এনটিআরসিএ-কে নিয়োগ সুপারিশ অনুমতি দেয় মন্ত্রণালয়। পরের দিন থেকে এনটিআরসিএ নিয়োগ দেবে এমনটাই স্বাভাবিক। এনটিআরসিএ’র এক ঝাঁক অনার্স-মাস্টার্স করা তরুণ-তরুণীরা নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে বিষয়ভিত্তিকÑ ‘শিক্ষক নিবন্ধন সনদ’ অর্জন করেছে। শিক্ষক হিসেবে শুধু তাদেরই নিয়োগ দেয়া হবে, এখানে কোনো জটিলতা থাকার কথা না। কিন্তু কেন এনটিআরসিএ’র সব শর্তে উত্তীর্ণ তরুণ-তরুণী বারবার নিয়োগ বঞ্চিত? কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক সংকটে? আর কেনইবা এনটিআরসিএ’র নামে হাজার হাজার মামলা-মোকদমা?

এনটিআরসিএ ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাঝে সমন্বয়হীনতা আধুনিক সময়োপযোগী একটি শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে জটিল থেকে জটিল করে তুলেছে। সুতরাং এখন যা হচ্ছে সবই পরিকল্পনাহীন ও সমন্বয়হীনতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়। এনটিআরসিএ’র দ্বিমুখী নীতির কারণে কেউ ৪০ নম্বর পেয়ে চাকরি করছে, কেউ ব্লক পোস্ট পেয়ে চাকরিতে যোগদান করছে, আবার অবৈধ সনদ দিয়েও চাকরি করছে। অথচ বৈধ্য সনদধারীরা অযোগ্য হচ্ছে।

শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এনটিআরসিএ বছরে একাধিক পরীক্ষা নিয়ে ২০-৩০ বাজার প্রার্থী যোগ করেছে, একই প্রার্থী একাধিকবার ভালো ফলাফলের চেষ্টা করেছে এবং স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে শুধু নিবন্ধিতদের সংখ্যাগত মানকে বৃদ্ধি করেছে। আবার নিয়োগ সুপারিশের নামে হাজার হাজার আবেদনের বিপরীতে এনটিআরসিএ হয়ে উঠেছে অর্থসংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান। এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানের ড্রাইভার ২ লাখ টাকায় এনটিআরসিএ’র সনদ প্রদান করে এবং ৬ লাখ টাকায় সুপারিশ পাইয়ে দেয় বলে মিডিয়া সয়লাব। সামান্য ১২ হাজার টাকা বেতনের একজন ড্রাইভারের কোটিপতি বনে যাওয়ার গল্প কে না জানে। এদের ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে, শুধু যে নিবন্ধিতরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, প্রকৃত মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতেই পারবে না। সঙ্গত কারণেই ফেসবুকে ভাইরাল পোস্ট ‘শিক্ষক তোমার আদর্শ কই’। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নামের কার্য সম্পাদনেই শুধু ব্যর্থ নয়, নিবন্ধিত শিক্ষকদের জন্য অভিশাপও বটে।

তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব পদে  আবেদন নেয়া হয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবার ওই সব পদ শূন্য দেখিয়েছে। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব পদে আবেদন নেয়া হয়েছে,  ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবার ওই সকল পদ শূন্য দেখিয়ে আবেদন নেয়া হচ্ছে। দৈনিক আমাদের বার্তায়Ñ‘রিটে না মেরিটে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে প্রচুর অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনে একটি শ্রেণিকে সুবিধা প্রদানের খবর সামনে আসে। প্রখ্যাত লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল স্যারেরÑ‘কমন সেন্সের বাইরে’ শিরোনামের লেখায় ফুটে ওঠে এনটিআরসিএ’র অনিয়মের ফিরিস্তি।

(২০১৬ সালের আগে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হতো। আর্থিক লেনদেন রোধে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক নিয়োগ ক্ষমতা এনটিআরসিএ-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৬ সালে এনটিআরসিএ ১৬০০০ পদের বিপরীতে প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীরা নিজ নিজ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন। কিন্তু পদ্ধতিগত ভুলের কারণে একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হন। শিক্ষক সংকট থেকেই যায়!

এরপর ২০১৮ সালের শেষে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৩৯৫৩৫ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এনটিআরসিএ। দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে নিয়োগ পদ্ধতির। এ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের দেশের সব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে সফটওয়্যারকেও এমন নির্দেশনা দেয়া হয় যেন একই ব্যক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ না পান। দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে চূড়ান্তভাবে প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষক দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পান।

কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলি ব্যবস্থা না থাকা ও সীমিত বেতন হওয়ায়; দূরে নিয়োজিত শিক্ষকরা পড়েন চরম বিপাকে। তারপর ২০২০ সালের ৩১ মার্চ প্রায় ৫৪ হাজার পদের বিপরীতে প্রকাশ করা হয় তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি। বদলি ব্যবস্থা না থাকায় দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ এন্ট্রিলেভেল শিক্ষক নিয়োগ আবেদন করেন তৃতীয় নিয়োগ চক্রে। তৃতীয় চক্রেও এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওসহ ৩৬৫৪০ জন শিক্ষক চূড়ান্ত সুপারিশ পান। যার মধ্যে আগের ইনডেক্সধারীর সংখ্যা ২১৮৭৩ জন। আর নতুন সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক মাত্র ১৪৬৬৭ জন। জয়েন করেন প্রায় ১২ হাজারের মতো। পদ শূন্য থাকে প্রায় ৪০ হাজারের ওপরে। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ৬৮ হাজার শূন্য পদের মধ্যে সুপারিশ পান মাত্র ২৭ হাজার। আবারও ফাঁকা থাকে ৪০ হাজারেরও বেশি পদ। আবারও ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতেও সিদ্ধান্তগত ও সিস্টেমজনিত ত্রুটির কারণেই ফাঁকা থাকছে প্রায় ৭০ হাজার পদ। এনটিআরসিএ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সব পদই পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বারবার যদি পদ শূন্যই থাকে বা রাখা হয়, তবে কেনই বা গণবিজ্ঞপ্তি? )

এনটিআরসিএ (বারবার পদ ফাঁকা রেখে, এন্ট্রিলেভেলের শিক্ষকদের সঙ্গে ইনডেক্সধারীদের সুযোগ দিয়ে, কোনো কোনো রিটকারীদের বিরুদ্ধে আপিল না করে, সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে) নিবন্ধিত শিক্ষকদের একটা অংশের সঙ্গে প্রতারণা করেই যাচ্ছে। এনটিআরসিএ’র আবেগ কাজ করছে, কিন্তু বিবেক কাজ করছে না। এককে সময়ের একক সিদ্ধান্ত ও সিস্টেমজনিত ত্রুটির কারণে বারবার পদ ফাঁকা থাকছে, কৃত্রিম শিক্ষক সংকট তৈরি হচ্ছে, এনটিআরসিএ’র সব শর্তে উত্তীর্ণ তরুণ-তরুণীরা বারবার নিয়োগ বঞ্চিত হচ্ছে।

এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুসারে নির্দিষ্ট বয়স (৩৫ বছর)-এর আগে যারা নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছে তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা কেন অবৈধ নয়, তা আইন বিশ্লেষণকারীরা সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। যদি আইনি বাধ্যবাধকতা থাকেও জাতীয় স্বার্থে তা পুনঃবিবেচনার এখনই সময়। শুধু ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচে উত্তীর্ণদের নিয়ে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এনটিআরসিএ। ১৬তম ব্যাচে উত্তীর্ণ সাড়ে ১৮ হাজারের বেশির ভাগ ইতোমধ্যে চতুর্থ সার্কেলে সুপারিশ প্রাপ্ত, ১৭তম সাড়ে ২৩ হাজার নতুন উত্তীর্ণ। তাহলে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত চাকরি প্রত্যাশী সর্বোচ্চ হবে ৩০ হাজার। অথচ শূন্যপদ প্রায় ৯৭ হাজার। সিদ্ধান্তগত ও সিস্টেমজনিত ত্রুটির কারণেই পদ ফাঁকা থাকবে প্রায় ৭০ হাজার। অনেকেই আইনি প্রক্রিয়ায় নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন, আবার অনেকে পাননি। তাহলে কী দাঁড়ালো আইনি পদক্ষেপ নিয়েই শিক্ষক হতে হবে নাকি সবার জন্য বিজ্ঞানসম্মত একটি সহজ সমাধান দরকার?

১২.০৬.২০১৮ তারিখের আগে যারা (১-১২তম) নিবন্ধন সনদ লাভ করেছে তাদের ক্ষেত্রে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৩৯০০/২০১৯ রায় অনুযায়ী বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করে এনটিআরসিএ আবেদন গ্রহণ করেন। এনটিআরসিএ-র করা রিভিউ খারিজ হয়েছে। সুতরাং আইনত ১-১২তমদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকার কথা না। এছাড়া এমপিও নীতিমালা প্রবর্তন-পরবর্তীদের জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলে তা পরবর্তীদের জন্য প্রযোজ্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। যেহেতু ২০১৫ সালে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে, ১ থেকে ১২ তম, ১৩তম, ১০তম বিশেষসহ সম্মিলিত মেধা তালিকা করা হয়। এরপর থেকে এনটিআরসিএ সবাইকে নিযোগ দেবে এটাই বিধিসম্মত নিয়ম বা আইন। এককবার একেকটি পরীক্ষায় প্রার্থীরা এককে নাম্বার পান। পদ্ধতিগত পরিবর্তন হলে মূল্যায়নের সবকিছুই ওলটপালট হয়ে যায়। তাই সম্মিলিত তালিকা করায় কোনো কোনো ব্যাচ লাভবান হয়, আবার কোনো কোনো ব্যাচের একেবারে বিনা কারণে সর্বনাশ হয়ে যায়। নম্বরভিত্তিক তালিকা করার কোনো পূর্ব ঘোষণা ছিল না, ফলে আগে যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১-১২তমদের একই তালিতায় অন্তর্ভুক্ত করায় তাদের নব্বইভাগেরই অবস্থান থাকে তালিকার পেছনের দিকে। স্বাভাবিকভাবেই সবার জন্য নিয়োগ সুপারিশের কোনো সুন্দর বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ ও মনমানসিকতা না থাকলে ১-১২তমরা নিয়োগবঞ্চিত থেকে যাবে। হয়েছেও ঠিক তাই।

এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত শিক্ষককেরা নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে বিষয়ভিত্তিকÑ‘শিক্ষক নিবন্ধন সনদ’ অর্জন করেছে। শিক্ষক হিসেবে শুধু তাদেরই নিয়োগ দেয়া হবে, এখানে কোনো জটিলতা থাকার কথা না। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ শিক্ষকতা ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসবে না। শিক্ষকতা পেশাকে ব্রত হিসেবে নিতে অনার্স-মাস্টার্স, এমএড-বিএড করেও নামমাত্র পারিশ্রমিকে অনেকের বয়েছে ৫-১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা। এনটিআরসিএ’র সব শর্তে উত্তীর্ণদের কোনো নিয়োগের সুরাহা না করে,  মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় গণিত ও বিজ্ঞানবিষয় শিক্ষক সংকট থাকার কারণে  ডিপ্লোমাধারীদের বিএসসির সমমর্যাদা দিয়ে শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করতে ইতোমধ্যে কমিটি গঠন করেছেন। সবার জন্য ভালো কিছু হলে ক্ষতি কী? কিন্তু তারও আগে পরিষ্কার ধারণা দেয়া দরকার,  বিষয়ভিত্তিক অনার্স-মাস্টার্স, এমএড-বিএড করে এবং এনটিআরসিএ’র সব শর্তে উত্তীর্ণ হওয়া কী পাপ হয়েছে?

জ্যোষ্ঠতার ভিত্তিতে (ব্যাচ ভিত্তিক) নিয়োগ প্রদান সময়ের অপেক্ষামাত্র। কেন না, এনটিআরসিএ’র ওয়েব সাইটে নিবন্ধিত সনদধারীর সংখ্যা ৬ লক্ষাধিক। অথচ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে স্কুল ও কলেজ পৃথকভাবে আবেদন পড়ে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। এবং স্কুল-কলেজ মিলে (যেহেতু একজন ব্যক্তি একাধিক পদে চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই। প্রকৃত চাকরিপ্রত্যাশীর সংখ্যা হিসেবে) আবেদন পড়েছিল ৮১ হাজার। বর্তমানে শূন্যপদ ৯৭ হাজার। নতুন যুক্ত ১৭তম সাড়ে ২৩ হাজার। সবাইকে একত্র করে নিজ নিজ নীতিমালায় একটি মাত্র ই-আবেদন নিয়ে প্যানেল করে নিয়োগ দেয়া সম্ভব। দ্ইু-একটা বিষয়ে সাময়িক সমস্যা হলেও জাতি সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে। অন্যথায়  প্রচলিত গণবিজ্ঞপ্তিতে কৃত্রিম শিক্ষক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। জাল সনদে কেউ কেউ চাকরি করছে, সরকারি বেতনভাতা তুলছে, অথচ বৈধ্য নিবন্ধিত শিক্ষকের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এতে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য তো পূরণ হচ্ছেই না, শিক্ষার বৈরী পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে বেকারত্ব এবং বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত চাকরিপ্রত্যাশী। 

সভাপতি, প্যানেলপ্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠন

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০