নিজস্ব প্রতিবেদক: শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের ঘটনায় আরও একটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক-গোয়েন্দা অধিদফতর। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় একটি বাড়ির গ্যারেজে লুকিয়ে রাখা বিএমডব্লিউ এক্স ৫ জিপটি জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দার দল সিদ্ধেশ্বরীর ‘সুধীসমাজ’ আবাসিক এলাকার হাসিব ভিলার গ্যারেজ থেকে কালো রঙের বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাডিটি জব্দ করে। গাড়িটি দীর্ঘদিন শুল্ক গোয়েন্দার নজরদারিতে ছিল। যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল গাড়িটি জব্দ করে আনা হয়। ২০০৪ সালে তৈরি গাড়িটি চার হাজার ৮০০ সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি বিএমডব্লিউ এক্স ৫ মডেলের একটি গাড়ি। গাড়িটির চেসিস নম্বর পরীক্ষা করে দেখা যায়, এটি কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় দেশে আনা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কারনেট সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলী নূর ইসলাম ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারটেন সুবিধার আওতায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়িটি বাংলাদেশে আনেন। তার কারনেট সুবিধার নম্বর সিসিএক্স-৫০২০৬৪। তিন মাসের মধ্যে পুনঃআমদানির শর্তে গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে খালাস করানো হয়। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে এটিতে স্থানীয় নম্বর প্লেট লাগিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৪-১৭৬০।
জানা যায়, শুল্ক গোয়েন্দার গত দুই বছরের চলমান অবৈধ বিলাসবহুল গাড়ি জব্দের অভিযানের নজরদারি এড়াতে ব্যবহারকারী গাড়িটি গ্যারেজে লুকিয়ে রাখেন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নথি অনুযায়ী, গাড়িটির ওপর প্রযোজ্য শুল্ক করের পরিমাণ তিন কোটি ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫৮ টাকা। এটি পরিশোধ না করে অবৈধভাবে গাড়িটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। গাড়িটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। এটি বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দার সদর দফতরে জব্দ অবস্থায় রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ায় অনুসন্ধান করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দার মহা-পরিচালক ড. মইনুল খান জানান।