Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 8:27 pm

সিনেমা হল নির্মাণে ১০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করেছেন। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে হল সংস্কার ও নতুন হল নির্মাণ করা যাবে। প্রথমে পাঁচ কোটি টাকার কথা বলা হলেও পরে টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে ১০ কোটি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক, পরিচালক, প্রযোজক, পরিবেশক সমিতির সভাপতি, সম্পাদক ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ইন্ডাস্ট্রি বড় হবে, আবার এক হাজার সিনেমা হল হবে, তখন হয়তো ভিন্ন পরিস্থিতি দাঁড়াবে। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে এটির প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আশার কথা হলো চলচ্চিত্র শিল্প এখন ভালোর দিকে যাচ্ছে। আমরা অনুদান দ্বিগুণ করেছি। আগে যেখানে ১০ কোটি টাকা দেয়া হতো, এখন দেয়া হয় ২০ কোটি। আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই, তখন চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরা আমার কাছে আসেন। তখন তারা আমাকে বলছেন, অনুদান যা দেয়া হয় তাতে অনেকগুলো হলে সিনেমা মুক্তি পায় না। অনেকগুলো আর্ট ফিল্মের জন্য অনুদান দেয়া হয় তারা সেগুলো বানায় না।  আমি তখন বিষয়টি অনুধাবন করি, আসলে অনেক ছবি যেমন বানানো হয়নি, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারপর বাণিজ্যিক ছবির ক্ষেত্রেও যেগুলো বানানো হয়েছে। সেগুলো হলে রিলিজ দেয়া হয়নি, কাউকে স্বত্ব বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা নতুন নীতিমালা করেছি, কমপক্ষে ১০টি হলে সিনেমা মুক্তি দিতে হবে। পরে এটি বাড়িয়ে ২০টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এক কোটি টাকার নিচে কোনো সিনেমা হয় না। ভালো সিনেমা বানাতে অন্তত ২ কোটি টাকা লাগে। সেক্ষেত্রে তারা পরামর্শ দিলেন অনুদান যেন বাণিজ্যিক ছবিতে দেয়া হয়। আমরা এরপর থেকে বাণিজ্যিক ছবিতে জোর দিই। আর্ট ফিল্মেও আমরা দিচ্ছি। ডকুমেন্টারিতেও দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাণিজ্যিকে অনুদান বাড়ানোর ওপর আমরা জোর দিয়েছি, সেটার সুফলও আমরা পাচ্ছি। ৬৫টাতে নেমে এসেছিল হল সেখান থেকে ২১০টা হয়েছে। আর এক বছরের আরও ১০০ বাড়বে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ঋণ নেয়ার জন্য অনেক দরখাস্ত ইতোমধ্যে জমা পড়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। এটা অনুদান নয়, ব্যাংকিং চ্যানেলে ঋণ দেয়া হচ্ছে। যখন কভিড মহামারি ছিল, তখন ভয়ে কেউ দরখাস্তই করেনি। কারণ তখন হল বন্ধ। পরে কভিডে প্রকোপ কমে আসার পর দরখাস্ত শুরু করল। তারপরে ব্যাংকগুলোকে আমাদের বোঝাতে হয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বসেছি। এরপর দরখাস্ত বেড়েছে। এখন আস্তে আস্তে ডিচপার্স হচ্ছে। এখন যেহেতু ভালো সিনেমা হচ্ছে তাই দরখাস্ত বাড়ছে।

তিনি বলেন, ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সিনেমা শিল্প, সেখানেও সেন্সর বোর্ড আছে। প্রত্যেকটা রাজ্যের সিনেমার জন্য সেন্সর আছে। এটা থাকতে হবে। যারা বলে থাকার দরকার নেই তারা বুঝে বলে নাকি না বুঝে বলে সেটি আমার প্রশ্ন। পৃথিবীর সব জায়গায় এটা আছে।